কিছু কেনার সময় দূরত্ব রাখতে হবে এক মিটার

সামাজিক দূরত্ব নির্ণয় নির্দেশক চিহ্ন আঁকা কার্যক্রম শুরু ঠাকুরগাঁওয়ে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় শুরু হয়েছে সামাজিক দূরত্ব নির্ণয় নির্দেশক চিহ্ন আঁকা কার্যক্রম। শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন সামাজিক দূরত্ব নির্ণয় নির্দেশক চিহ্ন আঁকা কার্যক্রম শুরু করেন।

এ সময় সদর ইউএনও’র উপস্থিতিতে আধুনিক সদর হাসপাতালের সামনে ফার্মেসি ও জরুরী নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানগুলোর সামনে দূরত্ব নির্ণয় নির্দেশক চিহ্ন আঁকা হয়। এভাবে বিভিন্ন টিমের মাধ্যমে পুরো উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়।

সদর ইউএনও জানান, ‘দোকান থেকে একজন ক্রেতা কিছু কিনতে আসলে ১ মিটার দূরত্বে অবস্থান করবে, এভাবে তার থেকে প্রত্যেক ক্রেতাই সেরকম ১ মি. দূরত্ব বজায় রাখবে। সেভাবেই মার্ক করা থাকবে। ক্রেতা বেশি হলে পরের লাইনেও দু’দিক থেকে ১ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে যাতে অবস্থান করতে পারে, সেভাবে চতুর্ভুজ আকারে মার্ক করা হচ্ছে।’

এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ-আল-মামুন জানান, ‘জরুরি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য ও ঔষধের দোকান গুলোর সামনে দূরত্ব নির্ণয় চিহ্ন আঁকার জন্য উপজেলার সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘পুরো জেলাতেই এভাবে দূরত্ব নির্ণয় নির্দেশক চিহ্ন আঁকার জন্য প্রত্যেক ইউএনওকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাস ছড়ানো প্রতিরোধে এটা সারা পৃথিবীতেই অবশ্য পালনীয় একটা বিষয় হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।’

এছাড়া, জগন্নাথপুর ইউনিয়নে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে চায়ের দোকান খোলা রাখায় কয়েকটি চায়ের দোকানদারকে জরিমানা করেন তিনি।