থানায় ঢুকে পুলিশকে মারপিটের অভিযোগ, গ্রেফতার ৪




শিবগঞ্জ থানা (ছবি সংগৃহীত)বগুড়ার শিবগঞ্জ থানায় ঢুকে পুলিশকে মারপিট করে গ্রেফতার তিন জনকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। বুধবার (২৭ মে) সন্ধ্যার এ ঘটনায় এসআই আনোয়ার হোসেন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পরে এ ঘটনায় গ্রেফতার চার জনকে বৃহস্পতিবার (২৮ মে) বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

গ্রেফতার আসামিরা হলেন শিবগঞ্জের নাগরবন্দর কালিপাড়ার তসলিম উদ্দিন (৬৫), তার ছেলে পূবালী ব্যাংক সাতমাথা শাখার ক্যাশিয়ার তৌহিদুল ইসলাম (৩০), একই গ্রামের মৃত জোব্বার প্রামাণিকের ছেলে হারুনার রশিদ (৬০) ও নাটমরিচা গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে হাফিজার রহমান (৩৫)।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে গাছ থেকে আম ও কাঁঠাল চুরি হয়। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তারক নাথ কুন্ডু থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে থানার এসআই আনোয়ার হোসেন বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে তদন্ত করে আসেন। পরে উপজেলার কালিপাড়া গ্রামের কিছু লোকজন হাসপাতালের দেয়াল ডিঙিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বাসভবনে হামলা চালান বলে অভিযোগ উঠে।

খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গেলে পূবালী ব্যাংক কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম ও আশপাশের গ্রামের অর্ধশত নারী-পুরুষ এসে পুলিশকে ঘেরাও করে। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে সহকর্মীদের উদ্ধার করে। এ সময় তৌহিদুল ইসলাম, হারুনার রশিদ ও হাফিজার রহমানকে গ্রেফতার করে থানায় আনা হয়।

পুলিশের দাবি, এ ঘটনায় এলাকায় প্রচার করা হয় ধরে নেওয়া ব্যক্তিদের থানায় নিয়ে মারপিট করা হচ্ছে। পরে তৌহিদুলের বাবা তসলিম উদ্দিন স্থানীয় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে থানায় প্রবেশ করে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের মারপিট করে গ্রেফতার তিন জনকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ তসলিম উদ্দিনকেও গ্রেফতার করলে অন্যরা পালিয়ে যায়।

শিবগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, গ্রেফতার চার জনসহ ১২ জনের নামে থানায় মামলা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।