আল্লামা শফী মোটামুটি সুস্থ, বাড়ি ফিরবেন কয়েকদিন পর

আল্লামা শাহ আহমদ শফী (ফাইল ছবি)

অনেকটাই সুস্থ বোধ করছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। হাটহাজারী আল-জামিয়াতুল দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার এই মহাপরিচালকের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। তিনি স্বাভাবিক কথা বলছেন। তবে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা চলছে। এ কারণে পিঠের একটা ঘা শুকাতে সময় লাগছে। সেটি শুকালেই বাড়ি যাওয়ার ছাড়পত্র পাবেন তিনি।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির রবিবার (১৪ জুন) বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।  

তিনি বলেন, উনার (আল্লামা শফী) অবস্থা আগে অনেক উন্নতি হয়েছে। উনি এখন প্রায় সুস্থ। সবার সঙ্গে স্বাভাবিক কথাবার্তা বলছেন।'

এক সপ্তাহ আগের রবিবার (৭ জুন) আল্লামা শফীর শারীরিক অবস্থার বেশ অবনতি ঘটেছিল। সেদিন রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালের আইসিইউতে তাকে ভর্তি করা হয়।

এরপর সোমবার (৮ জুন) দুপুরে হেফাজত আমিরের শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।     

কবে উনাকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে জানতে চাইলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আপনারা জানেন, উনি ডায়াবেটিস রোগী। উনার পিঠের দিকে একটু ঘা তৈরি হয়েছে। এটি এখনও শুকায়নি। যে কারণে আমরা উনাকে এখনই ছাড়পত্র দিতে চাইছি না। ঘা শুকানোর পর উনাকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, শতবর্ষী প্রবীণ আলেম আল্লামা আহমদ শফী দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত কারণে দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হেফাজত আমিরকে গত এক বছরে বেশ কয়েক বার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এর আগে গত ১১ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বমি, মাথাব্যাথা, শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় হেফাজত আমিরকে চট্টগ্রামের প্রবর্তক মোড়ের সিএসসিআর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ১৪ এপ্রিল দুপুর ১টায় চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে তাকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়। পরে করোনা পরীক্ষা করানো হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। পরে ২৬ মে হেফাজত আমিরকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হয়।