বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনায় দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে: নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

বন্দরের কর্মীদের হাসপাতালের উদ্বোধন করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রীবুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিবেদন জমা দেবে। এ ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। বুধবার (১ জুলাই) চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মীদের করোনা চিকিৎসার জন্য ৬০ শয্যার বিশেষায়িত ইউনিটসহ নতুন হাসপাতাল ভবনের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা জানান।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বন্দরে হাজারো লোকের আনাগোনা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন্দরের লোকজন স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করেছেন। কিছু সহকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এরপরও অপারেশন এক মুহূর্তের জন্যও বন্ধ হয়নি। বন্দরের সঙ্গে জড়িতদের সাহসী পদক্ষেপের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের লাইফ লাইন। চট্টগ্রামের মানুষের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। কোভিড-১৯ চিকিৎসায়ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে চট্টগ্রামবাসীর পাশে থাকবে বন্দর। আমাদের লোকজনকে আমরা সেবা দিতে পারলে নগরের হাসপাতালে ভিড় কমবে, নগরবাসী উপকৃত হবেন।

সভায় বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম, বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক, প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, এক লাখ বর্গফুটের ৬ তলা ভিত্তির ৪ তলা হাসপাতাল ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সম্প্রতি কাজ সম্পন্ন হয়। ৫টি ব্লকে রেখে নির্মিত এই হাসপাতালে বর্তমানে ১৫০ শয্যা থাকলেও ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার সুযোগ রাখা হয়েছে৷ চিকিৎসকের আলাদা কক্ষ, রোগীদের আলাদা ওয়ার্ড, অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। হাসপাতালের দুটি ব্লকে করোনা ইউনিট ও আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে। ২৫ শয্যায় হাই ফ্লো অক্সিজেন সিস্টেম রাখা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আইসিইউ ওয়ার্ড চালুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ৫০ শয্যার করোনা ইউনিটে ১৩ জন চিকিৎসক, ৩৬ জন নার্সসহ ১৫৯ জন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।