ইন্টার্ন ও কর্মচারীদের আল্টিমেটামে অচলাবস্থার আশঙ্কা




শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালইন্টার্ন চিকিৎসক ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের পাল্টাপাল্টি আল্টিমেটামে শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুই পক্ষের অনড় অবস্থানে যেকোনও সময় হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মসূচিজানা যায়, দুই সহকর্মী ওয়ার্ডবয়কে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হোস্টেলে নিয়ে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় বিচারের দাবিতে কর্মচারীরা আল্টিমেটাম দেন। এরপর নারী চিকিৎসককে উত্যক্তের অভিযোগ তুলে দোষী ওয়ার্ডবয়দের বিচারের দাবিতে আল্টিমেটাম দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নারী চিকিৎসকের উত্যক্তকারীর বিচার না হলে সরাসরি ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছেন তারা। শনিবার (৪ জুলাই) বেলা ১২টায় হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা লিখিত অভিযোগ দেন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, মেডিক্যালের করোনা ওয়ার্ডের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন জরুরি বিভাগের ওয়ার্ডবয় মো. বাদশাকে দেখতে গিয়ে গত ২৮ জুন রাতে দায়িত্বরত চিকিৎসকের কক্ষের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করেন ওয়ার্ডবয় মো. দিদারুল ইসলাম ও মো. নুরুল ইসলাম। এতে ক্ষিপ্ত হন ওই কক্ষে থাকা নারী ইন্টার্ন চিকিৎসক। এ ঘটনার জের ধরে পরদিন ২৯ জুন রাতে ওয়ার্ডবয় দিদার ও নুরুলকে ইন্টার্ন হোস্টেলে নিয়ে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় ৩০ জুন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা হাসপাতালের পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে অভিযুক্তদের বিচার দাবি করেন। গত বৃহস্পতিবার পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও করে দ্রুত অভিযুক্তদের বিচার না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের বৈঠকহাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন জানান, গভীর রাতে করোনা ওয়ার্ডে দায়িত্বরত এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে উত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা তাদের দুই সহকর্মীকে ইন্টার্ন হোস্টেলে নিয়ে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। দুই পক্ষের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠিত হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।