জেলা পুলিশ সীমান্তে যাওয়ার পথে প্রায় সব গাড়িতে তল্লাশি চালায় দিনে-রাতে। একইসঙ্গে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির পক্ষে সীমান্তে টহল ছিল জোরদার। পাশাপাশি চলে গোয়েন্দা নজরদারি।
র্যাব-৬, সাতক্ষীরা ক্যাম্প কমান্ডার সিনিয়র এএসপি বজলুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সন্দেহজনক মাইক্রোবাস প্রাইভেটকারসহ সব যানবাহনে তল্লাশি চালানো হয়। কোনোভাবেই যাতে সাহেদ ভারতে পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য এই অভিযান চালানো হচ্ছে। কারণ, গোয়েন্দা খবর হচ্ছে সাতক্ষীরা দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করবে সাহেদ।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান মঙ্গলবার জানান, সাতক্ষীরা শহরস্থ কামালনগরের একটি ফ্ল্যাটে গতরাতে অভিযান চালানো হয়েছে। সেখানে মো. সাহেদ সাতক্ষীরায় অবস্থানকালে থাকতো। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় ঢাকা যুগ্ম জজ ১ম আদালতের সিআর ১৪৮৮ নং মামলার সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তার ওয়ারেন্ট পেন্ডিং রয়েছে বলে তিনি আরও জানান।
আর এই গোয়েন্দা নজরদারি ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণেই ধরা পড়ে যায় সাহেদ। বুধবার (১৫ জুলাই) ভোরে সাড়ে পাঁচটায় সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন...
সাহেদ গ্রেফতার
প্রতারণার জগতে সাহেদ আইডল: র্যাব
সাহেদ ও সাবরিনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি
মৌলভীবাজারে খোঁজ মেলেনি সাহেদের
রিজেন্ট গ্রুপের এমডি মাসুদ গ্রেফতার
রিজেন্টের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতর চুক্তি করে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে
সাহেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
সাহেদের অপরাধের বিচার চান স্ত্রীও
রিজেন্ট হাসপাতালের ভবনগুলো দখল করেছিলেন সাহেদ