ভাঙনে তলিয়েছে পদ্মা সেতুর রেলওয়ে গার্ডার ও স্ল্যাব

 

ভাঙন কবলিত কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড৩১ জুলাই পদ্মা নদীর ভাঙনের কারণে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডের বেশকিছু এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে সেতুর জন্য নির্মিত বেশ কিছু রেলওয়ে গার্ডার, রোডওয়ে স্ল্যাব নদীতে তলিয়ে গেছে। তবে, এ সব ক্ষতির দায় বাংলাদেশ সরকার বা সেতু কর্তৃপক্ষ বহন করবে না, দায় ঠিকাদার কোম্পানির এবং তারাও সেটা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কাছে ক্লেইম করবে।

এমনটিই জানিয়েছেন পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের।
তিনি জানান, ৩১ জুলাই দুপুর থেকে ভাঙন শুরু হয় এবং মধ্যরাতে ভাঙন তীব্র হয়। ভাঙনের কারণে ১৯২টি রেলওয়ে গার্ডার ও ১২৬টি রোডওয়ে স্ল্যাব নদীতে তলিয়ে গেছে। এরপরেই ভাঙন এলাকা থেকে দ্রুত মালামাল সরিয়ে নিরাপদে নেওয়া হয়।

কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে রাখা প্রস্তুতকৃত স্প্যানতবে, নিয়োজিত ঠিকাদার এরইমধ্যে ১৯২টি গার্ডার নতুন করে লুক্সেমবার্গে অর্ডার করেছে। প্রায় চার মাস পর সেগুলো প্রকল্প এলাকায় চলে আসবে। অন্যদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত রোডওয়ে স্ল্যাবের কাজও হাতে নেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে পাঁচটি তৈরি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে সব স্ল্যাব তৈরির কাজ শেষ হবে বলে জানান প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের।

তবে, পদ্মা সেতুর প্রকল্প এলাকায় ভাঙনের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে আমাদের জানিয়েছিল নিয়োজিত কনসালটেশন ফার্ম কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন (কেইসি) অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস।

সেতু সংশ্লিষ্টরা জানান, পদ্মা সেতুর মোট দুই হাজার ৯২৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ৮৭০টি, দুই হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে এক হাজার ৪০০টি এবং ৪৩৮ ভায়াডাক্ট গার্ডারের মধ্যে ১৯৫টি স্থাপন করা হয়েছে। মূল সেতুর ৪১টি স্প্যানের ৩১টি ইতোমধ্যে বসানো হয়েছে। বাকি আছে মাওয়া প্রান্তের ১০টি স্প্যান। সেগুলোর মধ্যে ৭টি স্প্যান তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং ৩টি স্প্যান গঠনের কাজ চলমান আছে। বর্তমানে নদীর পানির লেভেল ও স্রোত স্প্যান বসানোর অনুকূলে না থাকায় সেগুলো বাসনো হচ্ছে না। সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখের পর থেকে স্প্যান বসানোর কাজ পুনরায় শুরু করা যাবে বলে জানা গেছে।

জাজিরাপ্রান্ত থেকে পদ্মা সেতুনির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে সেতুর সব স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যায়।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, পদ্মা সেতুর পিলারের মাটি সরে যাবে, এমনটি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। এটি একেবারেই মিথ্যা (ফেইক) কথা।