এমনটিই জানিয়েছেন পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের।
তিনি জানান, ৩১ জুলাই দুপুর থেকে ভাঙন শুরু হয় এবং মধ্যরাতে ভাঙন তীব্র হয়। ভাঙনের কারণে ১৯২টি রেলওয়ে গার্ডার ও ১২৬টি রোডওয়ে স্ল্যাব নদীতে তলিয়ে গেছে। এরপরেই ভাঙন এলাকা থেকে দ্রুত মালামাল সরিয়ে নিরাপদে নেওয়া হয়।
তবে, পদ্মা সেতুর প্রকল্প এলাকায় ভাঙনের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে আমাদের জানিয়েছিল নিয়োজিত কনসালটেশন ফার্ম কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন (কেইসি) অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস।
সেতু সংশ্লিষ্টরা জানান, পদ্মা সেতুর মোট দুই হাজার ৯২৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ৮৭০টি, দুই হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে এক হাজার ৪০০টি এবং ৪৩৮ ভায়াডাক্ট গার্ডারের মধ্যে ১৯৫টি স্থাপন করা হয়েছে। মূল সেতুর ৪১টি স্প্যানের ৩১টি ইতোমধ্যে বসানো হয়েছে। বাকি আছে মাওয়া প্রান্তের ১০টি স্প্যান। সেগুলোর মধ্যে ৭টি স্প্যান তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং ৩টি স্প্যান গঠনের কাজ চলমান আছে। বর্তমানে নদীর পানির লেভেল ও স্রোত স্প্যান বসানোর অনুকূলে না থাকায় সেগুলো বাসনো হচ্ছে না। সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখের পর থেকে স্প্যান বসানোর কাজ পুনরায় শুরু করা যাবে বলে জানা গেছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, পদ্মা সেতুর পিলারের মাটি সরে যাবে, এমনটি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। এটি একেবারেই মিথ্যা (ফেইক) কথা।