ভুয়া করোনা সনদ বিক্রির অভিযোগে টেকনোলজিস্টকে ধরিয়ে দিলেন সিভিল সার্জন (ভিডিও)

কুষ্টিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র এক টেকনোলজিস্টের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে ভুয়া করোনা নেগেটিভ সনদ বিক্রির অভিযোগ ওঠায় তার বিরুদ্ধে মামলা করে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম । ওই মামলার পর গোয়েন্দা পুলিশ ও মিরপুর থানা পুলিশের একটি দল এসে দীর্ঘ জেরার পর বুধবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করে।

অভিযুক্ত টেকনোলজিস্টের নাম মাহফুজুর রহমান।  

জানা গেছে, মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল টেকনোলোজিস্ট (ইপিআই) মাহফুজুর রহমানকে (৩৯) পিসিআর ল্যাব টেস্ট ছাড়াই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন এমন ভুয়া সনদ দিচ্ছেন এ ধরনের একটি অভিযোগ হাসপাতাল সূত্র হয়ে সিভিল সার্জনের কাছে আসে। বিষয়টি সম্পর্কে প্রাথমিক খোঁজখবর নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্তে এর প্রাথমিক সত্যতা মেলায় সিভিল সার্জন ডাক্তার এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম মিরপুর থানায় টেকনোলজিস্ট মাহফুজের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলার পর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ওসি আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল বুধবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে ওই হাসপাতালে অভিযান চালায়।               

অভিযুক্ত টেকনোলজিস্ট

সরেজমিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতাল টেকনোলজিস্টকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ সদস্যরা এলেও সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী তাকে গ্রেফতারে আইনগত সংকট তৈরি হয়। এরপর ওসি তাকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করেন এবং হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেন। এসময় টেকনোলজিস্টের কক্ষ থেকে তার স্বাক্ষরিত ১৩টি করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেটের ফটোকপি উদ্ধার করা হয়। ওই সনদগুলো ভুয়া বলে অভিযোগ রয়েছে। এসময়  সিভিল সার্জন নিজেও ওই হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন। এরপর তার উপস্থিতিতে আইনগত ঝামেলা এড়িয়ে সন্ধ্যায় টেকনোলজিস্ট মাহফুজকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেন।  

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশের অভিযান।

আটক মাহফুজুর রহমান মিরপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া এলাকার মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাক্তার এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে মিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন বা হাসপাতালের দায়িত্বশীল কোনও কর্মকর্তা কোনও কথা বলতে চাননি।

ওসি আবুল কালাম জানান, কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মাহফুজুর রহমানকে গ্রেফতার করি। এসময় তার কাছ থেকে একটি কম্পিউটারের হার্ডডিক্স, একটি পেনড্রাইভ এবং একটি স্ট্যাম্প সিল ও ১৩টি করোনা নেগেটিভ এর  ভুয়া সনদের ফটোকপি জব্দ করা হয়।