মসজিদে বিস্ফোরণ: তিতাসের লাইনে মিলেছে লিকেজ

বিস্ফোরণ

নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় মাটি খুঁড়ে গ্যাসলাইনে লিকেজ পাওয়া গেছে। এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়িত্ব-কর্তব্যে অবহেলা এবং গাফিলতির অভিযোগে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির ফতুল্লা অঞ্চলের ব্যবস্থাপকসহ মোট আট কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. নসরুল হামিদ বিপু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে, সকাল ৯টা থেকে পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোণের ঘটনায় তিতাস গ্যাসের পাইপ লাইনে লিকেজ আছে কিনা তা দেখার জন্য মসজিদের সামনে, দক্ষিণ ও উত্তর পাশে পাঁচটি গর্ত করে তিতাস গ্যাসের সংযোগ লাইন খুঁজে বের করা হয়। এসময় দুপুরের দিকে প্রায় আট- থেকে নয় ফুট মাটি খুঁড়ে মসজিদের উত্তর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি লাইনে লিকেজ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে লাইনের দুটি ফুটো দিয়ে গ্যাস নির্গত হয়ে থাকতে পারে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা অঞ্চলের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. মফিজুল ইসলাম। গ্যাস লাইনে ফুটো পাওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে বিকালে ফতুল্লা অঞ্চলের আট কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করাসহ কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন ফতুল্লা অঞ্চলের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপক মাহমুদুর রহমান রাব্বি, সহকারী প্রকৌশলী এসএম হাসান শাহরিয়ার, সহকারী প্রকৌশলী মানিক মিয়া, সিনিয়র সুপারভাইজার মো. মুনিবুর রহমান চৌধুরী, সিনিয়র উন্নয়নকারী মো. আইউব আলী, হেল্পার মো. হানিফ মিয়া ও কর্মচারী মো. ইসমাইল প্রধান।

মন্ত্রণালয় থেকে সাময়িক বরখাস্তের অর্ডারে বলা হয়, বিস্ফোরণজনিত দুর্ঘটনায় জোবিও ফতুল্লা-আবিবি নারায়ণগঞ্জের আওতাধীন এলাকাভুক্ত জোবিও ফতুল্লার কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান ও চাকরি থেকে সময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

বিস্ফোরণটি তিতাস গ্যাসের বিদ্যমান গ্যাস লাইনের লিকেজজনিত কারণে সংগঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য তিতাস গ্যাস ট্রন্সমিশন কোম্পানি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

 

বিস্ফোরণ১

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এশার নামাজের সময় এ বিস্ফোরণ ঘটে। ফরজ নামাজের মোনাজাত শেষে অনেকে সুন্নত ও অন্য নামাজ পড়ছিলেন। এসময় মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ জনের মতো মুসল্লি ছিলেন। বিস্ফোরণে তাদের প্রায় প্রায় সবাই দগ্ধ হন। দগ্ধদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

 

আরও পড়ুন:

মসজিদে বিস্ফোরণ: গ্যাস লাইনে লিকেজ খুঁজতে খোঁড়াখুঁড়ি
‘এসি নয়, মিথেন গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে’

মসজিদে বিস্ফোরণে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ: দুর্ভোগে ২০ হাজার পরিবার

নিহতদের সবার বাড়ি ২০০ গজের মধ্যে

মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় পৃথক চারটি তদন্ত কমিটি

ঘরে ঘরে কান্নার রোল