উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী জানায়, বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাউনেরচর, বেপারীপাড়া, সরকারপাড়া, গুচ্ছগ্রাম, শেখপাড়ার, তিলকপুর, গায়েনপাড়া, নান্দেকুড়া ও চরখড়মা গ্রামের প্রায় চার শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি ও কয়েক হাজার একর ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে যায়।
শুক্রবার (১১ সেপ্টম্বর) সকালে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পুরোটাই ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকা নদীগর্ভে চলে গেছে। সবকিছু হারিয়ে এ অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ বকশীগঞ্জ উপজেলার মাইছানিরচর, কলকিহারা, দুর্গাপুর এবং ইসলামপুর উপজেলার গোয়ালেরচর, ফকিরপাড়াসহ বিভিন্ন উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বছরের পর বছর এ অঞ্চলটিতে নদী ভাঙনের ফলে শত শত বসতবাড়ি ও হাজার হাজার একর আবাদি ফসলি জমি বিলীন হলেও প্রতিকারের কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।
শেখপাড়ার গ্রামের রহিম উদ্দিন, আলী আজগর, শমশের আলী, আব্দুর রহমান বাংলা টিবিউনকে বলেন, বাপ-দাদার বসতভিটায় আমরা সুখেই ছিলাম। খেয়ে চলার মতো ফসলি জমি ছিল। তবে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে সব হারিয়ে গেছে। এ অঞ্চলে আমাদের মতো হাজার হাজার মানুষ আজ বসতভিটা ও আবাদি জমি হারিয়ে পথে বসেছেন। আমাদের দুর্দশার শেষ নেই, এমনকি দেখারও কেউ নেই।
দেওয়ানগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছামিউল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমার ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড পুরোটাই ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকা নদীতে বিলীন হয়েছে। অধিকাংশ এলাকা জুড়ে বছরের পর বছর নদী ভাঙন চলছে। হাজার হাজার মানুষ তাদের বসতভিটা ও আবাদি জমি হারিয়ে অভাব-অনটনে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া বলেন, নদী ভাঙন এলাকাগুলো আমরা পরিদর্শন করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। তারা ওই ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।