জামালপুরে পাটের উৎপাদন ভালো হওয়ায় খুশি কৃষক

গুদামগুলোতে পাট সংগ্রহ শুরু হয়েছেচলতি বছর জামালপুরে পাটের উৎপাদন ভালো হওয়ায় খুশি চাষিরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস জানায়, চলতি বছর জেলায় ২৪ হাজার ৪৭৬ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার জেলায় পাটের মোট উৎপাদন হয়েছে ৪০ হাজার ৯৯৭ মেট্রিক টন। এবার ২৯ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। জেলায় বন্যায় ৪ হাজার ৬শ’ ৭৪ হেক্টর জমির পাটের ক্ষতি হয়েছে।

এরই মধ্যে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পাট কেটে পানিতে জাগ দিয়ে শুকিয়ে বিক্রি শুরু করেছেন। জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে ফড়িয়াদের কাছে উৎপাদিত পাট বিক্রি শুরু করেছেন তারা। পাট বিক্রেতা মেলান্দহ উপজেলার শ্যামপুর ইউপির ফরিদুল হক, আক্কাস আলী ও আলফাজ আলী জানান, বাজারে পাটের মূল্য ভালোই আছে। এবার বাজারে কেনাফ, মেন্তা ও তুষা পাট মণপ্রতি ২৪শ’ থেকে ২৫শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

একই কথা জানালেন ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি ইউনিয়নের কৃষক ও পাট বিক্রেতা আমির উদ্দিন, সুরুজ মিয়া ও জব্বার আলী। তারা বললেন, ‘নিম্নমানের পাট বিক্রি হচ্ছে ১৮শ’ থেকে দুই হাজার টাকায়। জেলা শহরের তমালতলার পাটের গুদামগুলোতে এখন থেকেই পাট সংগ্রহ শুরু হয়েছে। এই পাট ট্রাক বোঝাই করে দেশের বিভিন্ন পাটকলগুলোতে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’ তবে গত বছরের পাট বিক্রির প্রচুর টাকা এখনও বকেয়া পড়ে আছে বলে অভিযোগ করেন গুদাম মালিকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের পাট মার্কেটিং অফিসার মো. হাবিল উদ্দিন বলেন, ‘চলতি বছর কৃষকরা পাটের ভালো মূল্য পাচ্ছেন তবে এ জেলায় কাঁচা পাট বিক্রি হচ্ছে না।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ আধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘চলতি বছর জেলায় ভয়াবহ বন্যায় পাটের বেশ ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় ৪ হাজার ৬৭৪ হেক্টর জমির পাট ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ বন্যা শুরু হবে শুনে কৃষকরা পাটের বয়স পূর্ণ হওয়ার ১৫ থেকে ২০ দিন আগেই ক্ষেত থেকে পাট কেটে ফেলেছেন। যার ফলে পাটের ওজন কম হয়েছে।’

তিনি জানান, গ্রামে ফড়িয়াদের মাধ্যমে পাট কেনা হচ্ছে।