সম্প্রতি এক শিশুকে ভুল চিকিৎসা দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে উপজেলা প্রশাসন ও র্যাব।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, দীর্ঘদিন ধরে শহিদুল নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করছিল। এছাড়া নাক, কান, গলা, হাড় এবং মা ও শিশু রোগসহ বেশকিছু বিভাগে বিশেষজ্ঞ বলে পরিচয় দিয়ে আসছিল। সে সিরাজদিখান উপজেলায় বসবাস করছিল। তার বাড়ি জামালপুর জেলাতে। ভুল চিকিৎসা দেওয়া এবং চিকিৎসক হিসেবে কোনও অনুমোদিত কাগজপত্র না থাকায় তাকে একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া সে যেই দোকানে ছিল সেখানে সতর্ক করা হয়েছে এবং মুচলেকাও নেওয়া হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ র্যাব-১১ কোম্পানি কমান্ডার এএসপি প্রণব কুমার জানান, ভুয়া চিকিৎসক শহিদুল কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তার কাছে চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনও সনদ ছিল না। বেজগাও এলাকাতেও সে একটি ফার্মেসিতে রোগী দেখে আসছিল। সর্বশেষ একজন শিশুকে ভুল চিকিৎসা দিয়ে অসুস্থ করে ফেলে। এখন শিশুটি মুমূর্ষু অবস্থায় আছে। শিশুটির মা অভিযোগ করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
জানা গেছে, শিশুটি ঢাকার একটি সরকারি হাসপাতালে গেলে সেখান থেকে ভুল চিকিৎসা দেওয়ার কারণে অবস্থা খারাপ হওয়ার কথা জানানো হয়।