পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগের শ্রমিকরা সেখানে মরিচা পড়া রেল লাইনের ওপর পোড়া মবিল ও তেল জাতীয় পদার্থ ঘষে তেলতেলে করছিলেন। স্টেশনের পূর্বদিকে ইকোপার্কের পাশে আউটার লাইনের ওপর থেকে ঘাস টেনে টেনে তুলতেও দেখা যায় শ্রমিকদের। তার কিছু দূরেই এক দল শ্রমিক রেললাইনের পাশে পাথরের সারি পরিপাটি করছিলেন। পুরো স্টেশন এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন শ্রমিক ও কর্মচারীরা।
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন সেতুর পশ্চিম পাড়ে আসেন। স্টেশনের অদূরে ও গোলচত্বর এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। যমুনা নদীর ওপরে বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে ‘বঙ্গবন্ধু ডুয়েল গেজ রেলসেতু’র নির্মাণ কাজ শুরু হবে শিগগিরই। আগামী ২৯ নভেম্বর ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের স্থান নির্বাচনের জন্যই রেলমন্ত্রীর আগমন।
পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগ, পাকশীর বিভাগীয় ব্যাবস্থাপক (ডিআরএম) মো. শাহিদুল সন্ধ্যায় বলেন, যখন কোনও ভিআইপি আসেন, তার উপলক্ষে রেল বিভাগ থেকে স্টেশন বা পরিদর্শন এলাকা পরিস্কার রাখার নির্দেশনা আসে। তবে এটি রুটিন ওয়ার্ক। রেললাইনে মরিচা রোধে পোড়া মবিল দিয়ে লাইন তেলতেলে বা চকচকে করাটাও রুটিন কাজেরই অংশ। সারা বছরই করা হয়। হয়তো মন্ত্রী আসায় এটি চোখে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।