সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সড়কটির তেমোহনী থেকে গনিপুর পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার সড়কের বেশির ভাগ অংশের পিচ ও পাথর উঠে গিয়ে সুড়কি বালু বেরিয়ে গেছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় খানাখন্দ। অনেক স্থানে দেবে গিয়ে পানি জমে জলাশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
সড়কের রাজাপুর এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সড়ক সংস্কারের নামে এখানে সরকারি অর্থ লুটপাট হয়েছে। ফলে সড়কগুলো বেশি দিন টেকেনি।
ওই সড়কে যাতায়াতকারী শিক্ষক আবু নাসের বলেন, সড়কটি মেরামত করা হয়েছে বেশিদিন হয়নি। কিন্তু নিম্নমানের কাজ করায় কিছুদিন না যেতেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
সিএনজি চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, চলাচলে অনুপযোগী এই সড়কে গাড়ি চালিয়ে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে লোকসান গুনতে হয়। শারীরিকভাবেও ব্যথা-বেদনার কারণে গাড়ি চালাতে তেমন আগ্রহ থাকে না।
সওজ সূত্রে জানা গেছে, ফেনীর তেমোহনী হতে বিরলী, রাজাপুর, সিন্দুরপুর, অলাতলী, দরবেশেরহাট, গাজিরহাট, কানকিরহাট হয়ে সোনাইমুড়ি পর্যন্ত জনসাধারণের একমাত্র চলাচলের সড়ক এই রাস্তাটি। গত বছর ফেনীর তেমোহনী থেকে দরবেশেরহাট পর্যন্ত খানাখন্দ ভরাটসহ সংস্কারে সাত কোটি টাকার কাজ হয়েছে। এছাড়া সড়কটি ১২ ফুটের জায়গায় ১৮ ফুট করা হয়েছে।
ফেনীস্থ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে চাহিদাপত্র প্রেরণ করা হয়েছে। বরাদ্দ এলে কার্যাদেশ দেওয়া হবে।