যুবককে ফাঁসাতে ভাঙা হলো ‍আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩২ পিলার

সুমন কাজী নামের এক যুবককে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন মেম্বার ও ঠিকাদারসহ ৫ জন। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সাকরাল গ্রামে। এ ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (১ মার্চ) তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, উপজেলার চাখার ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য দীপু দত্ত, আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্মাণকাজের সাব-ঠিকাদার রাম প্রসাদ মণ্ডল, নির্মাণ শ্রমিক ইমরান সিকদার, শ্রমিক সাদিক শেখ ও মিশকাত মোল্লা।

রাম প্রসাদ ও ইমরান সিকদার পুলিশের কাছে জানান, নির্মাণ শ্রমিকদের রান্নার জন্য নিযুক্ত এক নারীর সঙ্গে প্রধান রাজমিস্ত্রি এমদাদের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দুই দিন আগে রাতে সুমন কাজী একটি বাগানের মধ্যে ওই নারীসহ এমদাদকে আটকের পর মারধর করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত হন ইউপি সদস্য দীপু দত্ত। তার সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করে সুমন। এছাড়া নির্মাণ কাজের মান নিম্নমানের হওয়ায় সুমন তারও প্রতিবাদ করেন। এসব কারণে সুমনকে ফাঁসাতে নির্মাণাধীন বাড়ির পিলার ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা করেন মেম্বার দীপু দত্ত।

তার পরিকল্পনায় সাব-ঠিকাদার রাম প্রসাদ মণ্ডলের নির্দেশে ২১ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে ৩২টি পিলার ও একটি ঘরের দেয়ালের আংশিক ভেঙে ফেলেন গ্রেফতারকৃত ওই তিন শ্রমিক।

পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর নির্মাণাধীন ঘরের ৩২টি পিলার ও একটি ঘরের দেয়ালের আংশিক ভেঙে ফেলার ঘটনায় মামলায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা পিলার ও দেয়াল ভাঙার কথা স্বীকার করেছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রবিবার উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে শ্রমিকরা ১২টি ঘরের ৩২টি পিলার ভাঙা দেখতে পান। এ ঘটনায় ২২ ফেব্রুয়ারি সাকরাল গ্রামের যুবক সুমন কাজীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে বানারীপাড়া থানায় মামলা করেন চাখার ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহসিলদার) বাদশা মিয়া।

সোমবার সুমন কাজী আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। অপর আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়।