রংপুর বিভাগে ৪ লাখ ছাড়িয়েছে টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা

করোনার টিকা নেওয়ার পঁয়ত্রিশ তম দিন রংপুর বিভাগের আট জেলায় টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়েছে। রবিবার (১৪ মার্চ) পর্যন্ত টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১১ হাজার ৩৬১ জন। রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. আহাদ আলী টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।

তবে টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা কমছে বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা গেছে। বিশেষ করে, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলায় টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা সবচেয়ে কম। এই তিন জেলায় টিকা নিতে আগ্রহী হচ্ছে না জেলা শহরের বাসিন্দারা। উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ে এর সংখ্যা একেবারে নেই বললেই চলে।

রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগের রংপুর ও দিনাজপুর জেলায় টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা প্রথমদিকে বৃদ্ধি পেলেও এখন অনেক কমেছে। তার পরেও টিকা গ্রহণকারী জেলার মধ্যে রংপুর জেলা এখনও শীর্ষে রয়েছে। রংপুরে এ পর্যন্ত টিকা নিয়েছে ৮৮ হাজার ৭৮৬ জন। এর পরেই রয়েছে দিনাজপুর জেলা। সেখানে টিকা নিয়েছেন ৮৪ হাজার ৬৭১ জন। সবচেয়ে কম টিকা নিয়েছেন লালমনিরহাটে, ২৯ হাজার ২৯০ জন। এর পরে রয়েছে কুড়িগ্রাম, সেখানে টিকা নিয়েছেন ৩৫ হাজার ৬৭৭ জন। তবে গাইবান্ধা জেলায় টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা বেড়েছে। সেখানে রবিবার পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ৪১ হাজার ৩৮৩ জন।

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের টিকা দান কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যকর্মীরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। দু-চার জন করে আসছেন আর টিকা নিচ্ছেন। কর্তব্যরত একজন স্বাস্থ্যকর্মী জানিয়েছেন, টিকা নেওয়ার ব্যাপারে প্রথমদিকে যেমন সাধারণ মানুষের মাঝে আগ্রহ দেখা গিয়েছিল, এখন তা অনেক কমে গেছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গ্রামাঞ্চলে বিশেষ করে উপজেলা পর্যায়ে করেনানার টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা শতকরা দুই ভাগে নেমে এসেছে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের আট জেলায় করোনায় টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা ১২ হাজার ৩৯৫ জন। এর মধ্যে রংপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি ৪  হাজার ৫০৭ জন।  এরপরেই রয়েছে দিনাজপুর, সেখানে টিকা নিয়েছে এক হাজার ৮২২ জন। এছাড়া পঞ্চগড় জেলায় ৬০৬ জন, নীলফামারীতে এক হাজার ৬৪০ জন, লালমনিরহাটে ৫০৪ জন,  কুড়িগ্রামে জেলায় এক হাজার ৮৬ জন, ঠাকুরগাঁয়ে ৬৯২ জন এবং গাইবান্ধায় এক হাজার ৫৩৮ জন। 

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ ও বিজিপির অনেক সদস্য, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী গণমাধ্যমকর্মী সহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ টিকা নিচ্ছেন। তবে নারীদের টিকা নেওয়ার অগ্রহ খুবই কমই লক্ষ করা গেছে। এছাড়া টিকা গ্রহণকারী কারও অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। বরং টিকা নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করে সবাইকে টিকা দেওয়ার আহ্বান জানান টীকাদানকারীরা।

এ ব্যাপারে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিচালক ডা. আহাদ আলী জানান, রংপুর বিভাগের দুই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে দুই শতাধিক বুথের মাধ্যমে করোনায় টিকা দেওয়া হচ্ছে। তিনি টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা কমছে বলে স্বীকার করলেও জানান, এটা ঠিক হয়ে যাবে।