রাজশাহী বিভাগে টিকা অবশিষ্ট আছে ১০ হাজার ডোজ

রাজশাহী বিভাগের আর আট জেলায় আর মাত্র এক হাজার ভায়াল (শিশি) করোনার টিকা আছে। প্রতিটি ভায়ালে ১০ জনকে টিকা দেওয়া যায়। তাই মজুত থাকা এক হাজার ভায়াল দিয়ে আর মাত্র ১০ হাজার ব্যক্তিকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে।

মঙ্গলবার (১৮ মে) টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম শেষে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, বিভাগের ছয় লাখ ৬৪ হাজার মানুষ করোনার প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন। এর মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন তিন লাখ ৮২ হাজার জন। আরও ১০ হাজার জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে। এরপর প্রায় দুই লাখ ৭২ হাজার মানুষের টিকার দ্বিতীয় ডোজ আপাতত হবে না। কবে হতে পারে সেটিও নিশ্চিত করে বলতে পারেননি বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক। তার বক্তব্য, ‘যারা দ্বিতীয় ডোজ পাননি, তাদের জন্য কবে টিকা আসবে এটা আমরা বলতে পারবো না। দেশে এলেই টিকা দেওয়া হবে।’

স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের হিসাবে মঙ্গলবার এই বিভাগে পাঁচ হাজার ৯৯৯ জনকে করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ৬০৯ জন এবং নারী দুই হাজার ৩৯০ জন। মঙ্গলবার বিভাগের রাজশাহী জেলায় এক হাজার ১৪৮ জন, মহানগরে ৫৩০ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৮৯৩ জন, নাটোরে ৩০১ জন, নওগাঁয় ৬৭১ জন, পাবনায় ৭৩৮ জন, সিরাজগঞ্জে ৬৯০ জন, বগুড়ায় ৬৮৮ জন এবং জয়পুরহাটে ৩৪০ জন দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন। এভাবে বিভাগে আর বড়জোর দুই দিন টিকা কার্যক্রম চলবে। নতুন করে টিকা না এলে তারপরই বন্ধ হয়ে যাবে।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের (রামেক) অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী বলেন, ‘একটি টিকা নেওয়ার ১২ সপ্তাহের মধ্যেই দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে হবে। তা না হলে টিকার কার্যক্ষমতা কমে যাবে। তখন আবার নতুন করে দুই ডোজই টিকা নিতে হবে।’

রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার বলেন, ‘যে টিকা দেওয়া হয়েছে সেটির সাধারণত প্রথম ডোজ নেওয়ার পর আট থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হয়। কিন্তু টিকা সংকটের কারণে দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ বন্ধ হয়ে যাবে। যারা এখনও টিকা পায়নি, তাদের কী করা হবে তা এখনও জানা যায়নি। বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত আসার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানাবে। আমরা সে অনুযায়ী কার্যক্রম চালাবো।’

রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বলেন, ‘সাধারণ মানুষের জন্য নতুন করে এখনই টিকা আসবে, এরকম কোনও তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে কিছু টিকা আসতে পারে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের জন্য। টিকা পেলেই প্রয়োগের কার্যক্রম শুরু হবে।’