খাগড়াছড়িতে আশানুরূপ ফলন হয়নি লিচুর, হতাশায় চাষিরা

বছরের এই সময়ে গাছে থোকায় থোকায় লিচু থাকার কথা। অথচ এবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে খাগড়াছড়িতে লিচুর আশানুরূপ ফলন হয়নি। সারাবছর বাগান পরিচর্যা, সার ও কীটনাশক প্রয়োগের পরও ভালো ফলন না হওয়ায় হতাশায় পড়েছেন চাষিরা। ক্ষোভ ও হতাশায় অনেক বাগান মালিক তাদের লিচু গাছ কেটে ফেলছেন।

খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ বছর দুই হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৭৮৭ মেট্রিক টন। কিন্তু খরা আর প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে এ বছর লিচুর ফলন ভালো হয়নি।

মানিকছড়ির ১নং ইউনিয়নের কৃষক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি  ১০ বছর আগে লিচু বাগান করেছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনও বছর ভালো ফলন পাননি। সব মিলিয়ে হয়তো ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার লিচু বিক্রি করেছেন।

মানিকছড়ির ১নং ইউনিয়নের আরেক কৃষক আবদুর রশিদ জানান, তার তিনটি বাগানে প্রায় ১০০ লিচু গাছ আছে। বিগত দুই-তিন বছর যাবৎ ফলন আসছে না। এ বছরও এক লাখ টাকা খরচ করেছেন কিন্তু ২০ হাজার টাকার লিচুও বিক্রি করতে পারেননি। তাই চিন্তাভাবনা করছেন লিচু বাগান কেটে অন্য বাগান করার।

গুইমারার উপসহকারী কৃষি অফিসার, মো. আবদুল রাইম মজুমদার বলেন, ‘বিগত দুই-তিন বছর ধরে পার্বত্য অঞ্চলে শীত কম পড়ায় মাইটের আক্রমণ বেড়ে গেছে, তাই লিচুর ফলন কম হচ্ছে। আর সঠিকভাবে পরিচর্যা ও সেচ ব্যবস্থা না থাকায় পাহাড়ে লিচুর ফলন কম হচ্ছে।’

খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. মর্তুজ আলী বলেন, ‘খরা আর প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে লিচুর ফলন এ বছর অর্জিত হবে না।’