ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন পুনঃসংস্কার এবং সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি চালু করার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জেলা নাগরিক ফোরাম। শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন সংগঠন ও শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত তিন দিন তাণ্ডব চালিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থাপনাসহ রেলওয়ে স্টেশনটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর পর থেকে এই স্টেশনটির কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। স্টেশনটিতে বর্তমানে দূরপাল্লার আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী। এ অবস্থায় বিকল্প স্টেশন আখাউড়া-ভৈরব এবং আশুগঞ্জ হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম সিলেট যাতায়াত করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যাত্রীরা। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’

মানববন্ধনে নদী নিরাপত্তা বিষয়ক সামাজিক সংগঠন নোঙরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি শামিম আহমেদ বলেন, ‘হেফাজতের তাণ্ডবের পর দীর্ঘ সাত মাস পরেও এখনও স্টেশনটি চালু হয়নি। দ্রুত সব ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবি জানাচ্ছি।’

জেলা জাসদের সভাপতি আক্তার হোসেন সাঈদ বলেন, ‘আজকে যে অসুবিধা ভোগ করছি, এটি শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নয়, আশেপাশের জেলার মানুষও ভোগ করছে। যাত্রী ওঠানামার দিক দিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পরেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের স্থান। কিন্তু সেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ অনেকদিন ধরেই কষ্ট করছে। দ্রুত ট্রেনের যাত্রাবিরতি না দেওয়া হলে আমরা বাধ্য হবো রেলপথ অবরোধ করতে।’

জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য বলেন, ‘শুধু একটি আন্তনগর ট্রেন ছাড়া বাকিগুলো থামছে না। আমাদের প্রশ্ন, একটি ট্রেন যদি থামতে পারে তাহলে বাকিগুলো কেন থামছে না? উদ্দেশ্যমূলকভাবে থামানো হচ্ছে না। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সবগুলো ট্রেনের স্টপেজ না দেওয়া হলে রেলপথ অবরোধের মতো কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে।’

মানববন্ধনে পাঁচ শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।