রাতে মুরগি কেনাকে কেন্দ্র করে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় শ্যালকের জন্য মুরগি কেনাকে কেন্দ্র করে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার রোয়াইর দিঘীপাড়া গ্রামে স্বামীর বাড়িতে অসুস্থ অবস্থায় গৃহবধূ খাদিজা বেগমের (২২) মৃত্যু হয়। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার চাঁনপাড়া গ্রামের জামাল উদ্দীনের মেয়ে খাদিজার বিয়ে হয় ক্ষেতলাল উপজেলার রোয়াইড় দীঘিপাড়া গ্রামের আলী আকবরের ছেলে রুবেল হোসেনের (২৫) সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ লেগে ছিল। তাদের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে।

স্বজনদের আহাজারি

অভিযোগ উঠেছে, রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে ছোট ভাই। শ্যালকের জন্য রাতে মুরগি কিনে বাড়িতে ফেরেন রুবেল হোসেন। মুরগির রান্না করতে বলেন স্ত্রী খাদিজাকে। রাতে মুরগি কেনাকে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন স্বামী-স্ত্রী। একপর্যায়ে স্ত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। এরপর বিনা চিকিৎসায় বাড়িতে ফেলে রাখেন। মঙ্গলবার সকালে রুবেল হোসেন বাড়ির বাইরে মাঠে কাজ করতে গেলে এলাকাবাসীরা খাদিজাকে গুরুতর অসুস্থ দেখে ডাক্তারের কাছে নেওয়ার আগে গোসল করানোর সময় খাদিজার মৃত্যু হয়।

খাদিজার বাবা জামাল উদ্দীন বলে, ‘প্রায় পাঁচ বছর হলো মেয়ের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর অমিল ছিল। মঙ্গলবার সকালে জেনেছি, মেয়ে মারা গেছে। এখানে এসে শুনলাম, আমার মেয়েকে দুদিন আগে মারধর করে চিকিৎসা না করে বাড়িতে আটকে রেখেছিল। আমার মেয়ের মৃত্যু আমি মেনে নিতে পারছি না। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’

ক্ষেতলাল থানার ওসি নিরেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে মৃত্যুর রহস্য। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।’