কুড়িগ্রামে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড, একজনের মৃত্যু

কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলায় কালবৈশাখীর তাণ্ডবে এবং শিলাবৃষ্টিতে অন্তত দুই শতাধিক বসতবাড়িসহ গাছপালা ও জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ে গাছচাপায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৭ এপ্রিল) রৌমারীর ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেল এ তথ্য জানিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে শিলাবৃষ্টিসহ ঝড় শুরু হয়, যা ঘণ্টাব্যাপী চলতে থাকে। কালবৈশাখীর তাণ্ডব এবং শিলাবৃষ্টিতে রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার যাদুরচর, বন্দবেড়, কোদালকাটি ও মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের কয়েকশ’ বসতবাড়ি ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়াও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সময় রৌমারীর শিবেরডাংগি এলাকার বাসিন্দা দুলাল মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া (৪০) নিজ বাড়িতে গাছচাপায় গুরুতর আহত হন। পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বহু গাছ ভেঙে পড়েছেরাজীবপুর সদর ইউনিয়নে ঝড়ের তাণ্ডবে চরসাজাই উত্তর মণ্ডলপাড়া এলাকার বাসিন্দা ইউসুফের দুটি বসতঘর ভেঙে পড়ে। এতে ইউসুফ ও তার পরিবারের সদস্যরা আহত হন। এ ছাড়াও ঝড়ে একই এলাকার সোনামিয়ার বসতঘর ভেঙে পড়ে।

রাজীবপুর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার বসতবাড়িসহ গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের তারে গাছ ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন দিনভর মেরামতকাজ করার পর বিকাল থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন ইউএনও। ঘর হারানো আটটি পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আটটি তাঁবু দেওয়া হয়েছে।

ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছি। মৃত গৃহবধূর পরিবারকে সহায়তা হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা এবং ৫০ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের সহায়তা দেওয়া হবে।’