অসংলগ্ন কথা বলছেন মামুন: পুলিশ

কলেজছাত্র মামুন হোসাইনকে (২২) বিয়ের মাত্র আট মাসের মাথায় উদ্ধার হলো কলেজশিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪০) মরদেহ। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর বিয়ে করেন তারা। রবিবার সকালে নাটোর শহরের বলারীপাড়া মহল্লার ভাড়া বাসা থেকে খায়রুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর তার স্বামী মামুনকে আটক করে পুলিশ। আটকের পর মামুনের বক্তব্য অসংলগ্ন ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া ওই বাড়ির নৈশপ্রহরীর সঙ্গে তার বক্তব্যের অমিল পাওয়া গেছে।

আরও খবর: ‘রাত ১১টায় বাসায় এসে ২টায় বেরিয়ে যান মামুন’

                 কলেজছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার

আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে পুলিশের কাছে মামুন জানান, তার স্ত্রী খায়রুনের ছোট ছেলে বাবার (খায়রুনের আগে স্বামী) কাছে থাকলেও বড় ছেলে থাকে নানার বাড়ি। বিয়ের আগে ব্যাংক, এনজিওতে খায়রুনের ১৫ লাখ টাকার বেশি ঋণ ছিল। সম্প্রতি বড় ছেলে খায়রুনের কাছে ছয় লাখ টাকার বেশি দামি মোটরসাইকেল দাবি করে। কিনে না দিলে ছেলে আত্মহত্যা করবে বলে ভয় দেখায়।

এক প্রশ্নের জবাবে মামুন দাবি করেন, গত রাত ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মোটরসাইকেলে বাড়িতে আসেন। এরপর নামাজের জন্য মসজিদের উদ্দেশে বের হন। যাওয়ার সময় খাইরুন ঘুমিয়ে ছিলেন। সকাল ৭টায় তাকে খুবজিপুর কলেজে রেখে আসবেন ভেবে নামাজ পড়ার আগেই খায়রুনকে ফোন দিলে বন্ধ পান। এরপর সে নামাজ না পড়েই বাড়ি এসে দেখেন খায়রুন ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছেন। তখন পকেটে থাকা লাইটারের আগুনে ওড়না পুড়িয়ে তাকে নামান।

নামাজের জামাত কখন জিজ্ঞেস করায় মামুন একবার বলেন জামাত ৪টার পর, আবার বলেন সাড়ে ৫টায়।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মামুন জানান, তিনি একেক সময় একেক মসজিদে নামাজ পড়েন।

এর আগে, সকালে মরদেহ উদ্ধারের পর বাড়ির নৈশপ্রহরী নিজাম উদ্দিন জানিয়েছিলেন, গত রাতে প্রায় তিন ঘণ্টা ওই ফ্ল্যাটে ছিলেন মামুন। রাত ১১টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে মামুন ফ্ল্যাটে আসেন। এরপর রাত ২টা থেকে আড়াইটার দিকে হাসপাতালে কাজ আছে বলে মামুন চলে যান। এরপর ভোর ৬টার দিকে আবার ফিরে আসেন। এর প্রায় ৫ মিনিট পরে তিনি জানান, তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।