মাদকসহ যুবক আটকের ঘটনা সাজানো, দাবি পরিবারের

যশোরের বেনাপোলে সোহাগ মিয়া (৩৫) নামে এক ব্যক্তির বিজিবির হাতে মাদকসহ আটকের ঘটনাকে মিথ্যা ও সাজানো দাবি করা হয়েছে। সোহাগ মিয়ার স্ত্রী রিমা খাতুনসহ তার পরিবারের লোকজন সোমবার দুপুরে যশোর প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উত্থাপন করেন। একই সঙ্গে তারা ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার ও তার মুক্তি দাবি করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, সোহাগ মিয়া ওরফে বড় বাবু শার্শা উপজেলার সাতমাইল (বাগআঁচড়া) এলাকার বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় গরুর হাটে মজুর হিসেবে কাজ করেন। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গভীর রাত থেকে পরদিন সকাল ১১টা পর্যন্ত বিজিবি সদস্যরা তাদের বাড়িতে অভিযান চালান। সে সময় তারা বাড়িতে কোনও মাদকদ্রব্য না পেলেও বড় বাবুকে ধরে নিয়ে যায়। যা স্থানীয় লোকজন অবলোকন করেন।

পরিবারের সদস্যদের দাবি, ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বিজিবি তাদের বেনাপোল ক্যাম্পে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানায়, বড় বাবুকে ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ আটক এবং তার যমজ ভাই বাবুসহ মোট চার জনকে আসামি করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, স্থানীয় লোকজনের সামনে অভিযান চালানোর সময় কোনও মাদকদ্রব্য না পাওয়া গেলেও পরে মাদকদ্রব্যসহ আটকের বিষয়টি একটি সাজানো ঘটনা। তারা এই মামলা প্রত্যাহারসহ বড় বাবুর মুক্তি চেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ সেপ্টেম্বর বেনাপোল বিওপি (বিজিবি) ৪৯/ডি কোম্পানির জেসিও-৮০৭৮ সুবেদার মো. আহসান উল্লাহ বাদী হয়ে বেনাপোল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ২২/১৬.০৯.২০২২।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে বেনাপোল থেকে যশোরের দিকে যাওয়া একটি প্রাইভেট কার তল্লাশিকালে সেখানে থাকা চার জন দৌড়ে পালানোর সময় সোহাগ হোসেন ওরফে বড় বাবুকে আটক করা হয়। এরপর গাড়িতে থাকা ১০০ বোতল ফেনসিডিল, ইয়াবাসদৃশ গোলাপি ট্যাবলেট চার হাজার ৯৬৫ পিস, চার কেজি গাঁজা, কাঁটাতার কাটার কাঁচি, সোনা প্যাকিং করার ম্যাটেরিয়াল ও প্রাইভেট কারটি জব্দ করা হয়।