বাড়ি থেকে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার

নিজ বাড়ি থেকে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের শিক্ষিকা রোকসানা খানমের (৫২) রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান জানান, সোমবার (৭ নভেম্বর) সকালে শহরের হাউজিং ডি ব্লকের ২৮৫ নম্বর বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

রোখসানা কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের ইংরেজি বিষয়ের সিনিয়র শিক্ষিকা ছিলেন। তার স্বামী খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান যশোরের চৌগাছায় এলজিইডির হিসাবরক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছয়তলা বিশিষ্ট বাড়িটিতে এই শিক্ষিকা দ্বিতীয় তলায় একাই থাকতেন। তার কোনও সন্তান নেই। ওই বাসার চতুর্থ তলায় থাকতেন তার মৃত ভাই এ কে এম নূরে আসলামের পরিবার।

ভাতিজা নওরোজ কবির নিশাত জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফুপু রোকসানা খানমকে তারা ডাকতে গিয়ে দেখেন দরজা ভেতর থেকে লক করা। অনেক ডাকাডাকি করার পরও দরজা না খোলায় তারা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানালে পুলিশ তাদের দরজা ভেঙে ফেলার জন্য বলে।

কয়েকজন মিলে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে তারা দেখতে পান দোতলার দক্ষিণ পাশের কক্ষের বিছানার ওপর কাত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রোখসানার মরদেহ পড়ে রয়েছে। মাথায় জখমের চিহ্ন। ওই ঘরের আসবাবপত্র, কাপড়-চোপড়, ড্রয়ার সবকিছু ছড়ানো-ছিটানো অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ, র‌্যাব, পিআইবি, ডিবি পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন।

নিহত রোখসানা খানমের স্বামী খন্দকার মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কোনও শত্রু ছিল না। আমার স্ত্রী কয়েকটি আংটি ছাড়া কোনও গয়না ব্যবহার করতেন না। কেন তাকে হত্যা করা হলো জানি না।’

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি বলেন, ‘কেউ বা কারা রাতের অন্ধকারে এসে শিক্ষিকাকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করেছে এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে জানানো হবে।’