‘১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ ঠেকানোর পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার’

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘বিএনপির সমাবেশকে বাধা দেওয়ার জন্য সরকার পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে। প্রায় হরতালের পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। সরকার সর্বব্যাপী আক্রমণের প্রস্তুতি নিয়ে ক্ষমতা টিকে থাকতে চাইছে। এভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা যাবে না। ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ ঠেকানোর জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে।’

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইল শহরের সন্তোষে তার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সরকার পদে পদে আমাদের বাধা দিয়েছে, হামলা করেছে। যাদের ওপর হামলা করা হয়েছে তাদের নামেই আবার মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। একটা যুগপৎ ধারায় অভিন্ন লক্ষ্যে আন্দোলন পরিচালনা করতে হবে। এতে সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে সরকার পতন, পদত্যাগ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীন নির্বাচন এবং সংবিধান সংস্কার করে শাসন ব্যবস্থার মধ্যে জবাবদিহিতা এবং ক্ষমতার ভারসাম্য তৈরির আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সেক্ষেত্রে সাত দফার প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সরকার নৈতিকভাবে দৈউলিয়া হয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার কেবল যে বিরোধীদলের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে সেটা নয়, তার দলের সদস্য ও সারা দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। মানুষ এবার নাগরিক মর্যাদার লড়াইয়ে নেমেছে। এই গণজোয়ার থামাতে পারবে না।’