গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীন ফ্যাসিবাদী সরকার এবার দিনে ভোট ডাকাতির ফন্দি আঁটছে। সরকার ও শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন না ঘটালে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। ফলে সর্বস্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা কমিটির উদ্যোগে রবিবার (৯ জুলাই) নগরীর উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে ‘রাজনৈতিক সংকট ও গণতান্ত্রিক শক্তিসমূহের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি।
দুর্নীতিকে নীতি হিসেবে গ্রহণ করে এই সরকার টিকে আছে মন্তব্য করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সব প্রতিষ্ঠানকে তারা দুর্নীতির ভাগ-বাঁটোয়ারা দেন। সরকার চাইলেও এখন এটা বন্ধ করতে পারবে না। এর ফলে সরকার ১৬ লাখ কোটি টাকা ঋণ করেছে। যে পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে, আমাদের রিজার্ভের যে অবস্থা, তাতে এই দেশ দেউলিয়াত্বের দিকে যাচ্ছে। এটা কেউ ঠেকাতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়ছি, সেটা আসলে এই শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের সংগ্রাম। এবারের লড়াই ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। এবারের লড়াই এমনভাবে গড়ে উঠবে, যা স্বৈরাচার পতনের সঙ্গে সঙ্গে দেশে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। জবাবদিহি ও জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যাবে।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি খুলনা জেলা কমিটির আহ্বায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল এবং সঞ্চালনা করেন জেলা সদস্য আল আমিন শেখ। সভায় বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য দেওয়ান আবদুর রশীদ নীলু।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি খুলনা মহানগরের সভাপতি খান লোকমান হাকিম, নাগরিক ঐক্য খুলনা মহানগরের সদস্যসচিব কাজী মোতাহার রহমান বাবু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি শেখ আবদুল হালিম, গণসংহতি আন্দোলন ঝিনাইদহ জেলা আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম ফুলতলা উপজেলা আহ্বায়ক মো. অলিয়ার রহমান প্রমুখ।
আলোচনা শেষে খুলনা জেলা কমিটির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মুনীর চৌধুরী সোহেলকে আহ্বায়ক এবং কামরুজ্জামান টুকুকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।