শিক্ষকের দিকে তেড়ে যাওয়ার ঘটনায় তিন অভিভাবকের আগাম জামিন

কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক আব্দুল হাইয়ের দিকে তেড়ে যাওয়ার ঘটনায় মামলায় এজাহারনামীয় তিন অভিভাবককে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। অভিযুক্তদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লাহ এবং বিচারপতি খন্দকার দিলিরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চ এ জামিন আদেশ দেন।

জামিন পাওয়া তিন অভিভাবক হলেন– ফরিদুজ্জামান মণ্ডল রুমন, আমিনুল ইসলাম লিটন ও আলতাফুর রহমান বিদ্যুৎ। তবে মূল অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মাসুদ রানা এখনও জামিন নেননি। তিনি পলাতক রয়েছেন।

অভিযুক্ত অভিভাবকদের আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এই আইনজীবী বলেন, ‘আমার মক্কেলদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে মহামান্য হাইকোর্ট তাদের আগাম জামিনের আদেশ দিয়েছেন। চার সপ্তাহ পর অভিযুক্তরা কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অাত্মসমর্পণ করবেন।’

কুড়িগ্রাম সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এমআর সাইদ বলেন, ‘আমরা তিন জনের জামিনের কপি পেয়েছি।’

এর আগে গত ২২ জানুয়ারি দুপুরে সন্তানের ভর্তি বাতিল সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন দিতে কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে যান কয়েকজন অভিভাবক। সে সময় অফিস কক্ষে থাকা স্কুলের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক আব্দুল হাইয়ের সঙ্গে বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে তার ওপর চড়াও হন বিএনপি নেতা ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর অভিভাবক মাসুদ রানা। শিক্ষকের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের এ ঘটনার একটি সিসি ক্যামেরা ফুটেজ প্রকাশ্যে আসে।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ভুক্তভোগী শিক্ষকের সঙ্গে বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে তার ওপর চড়াও হচ্ছেন। তার অমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে শিক্ষক আব্দুল হাই নিজেকে সুরক্ষায় সরে যাচ্ছেন। পরে উপস্থিত অন্য শিক্ষক ও অভিভাবকরা বিএনপি নেতা মাসুদ রানাকে নিবৃত্ত করেন।

ক্ষুব্ধ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এ ঘটনার সমালোচনা করেন। পরে ওইদিন বিকালে ভুক্তভোগী শিক্ষক এ বিষয়ে আইনি নিরাপত্তা চেয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় একটি সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেন। পরে ওই শিক্ষকের এজাহারের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা হয়।

মামলায় মাসুদ রানার বিরুদ্ধে শিক্ষককে ধাক্কা ও কিল-ঘুসি দেওয়ার অভিযোগ আনা হলেও তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

আরও খবর: এবার শিক্ষকের ওপর চড়াও হলেন বিএনপি নেতা