‘ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়মে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের পূ্র্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার। তিনি বলেন, ‘ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে কোনও অনিয়ম হলে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। যেকোনও মূল্যে হাওরের ফসল আগাম বন্যার হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।’

সোমবার বিকালে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নাইন্দার হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের নির্মাণকাজ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান প্রকৌশলী নাইন্দার হাওরের ফোল্ডার ২-এর ছয়টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির নির্মাণাধীন ফসলরক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘সুনামগঞ্জের হাওরের এক হাজার ৭৮টি ফসলরক্ষা বাঁধের মধ্যে ৭৯৩টি বাঁধ ২১৮টি ক্লোজারের মধ্যে ১৯৩টি ক্লোজারের মাটি ফেলার কাজ শেষ হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই হাওরে বাঁধে মাটি ফেলার কাজ শেষ হবে। সরকার হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে ২০৩ টাকা প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১০০ কোটি ছাড় দিয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি দ্রুত দ্বিতীয় কিস্তি ও তৃতীয় কিস্তির বিলের টাকা পেয়ে যাবে।’

প্রধান প্রকৌশলী বাঁধ পরিদর্শনের সময় বাঁধের বিভিন্ন ত্রুটি সংস্কারের নির্দেশনা প্রদান করেন। পরে তিনি দোয়ারাবাজার উপজেলার পাঁচটি হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন– সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সামছু দোহা, দোয়াবাজার উপজেলার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবু সায়েমসহ দোয়ারাবাজার উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।

জেলায় ছোট-বড় ৪৩ হাওরে এক হাজার ৭০০ কিলোমিটার ফসলরক্ষা বাঁধ রয়েছে। এ বছর ৭৪৫ কিলোমিটার বাঁধ সংস্কার কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।