মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ নিয়োগকে কেন্দ্র করে অধ্যাপককে মারধর, গ্রেফতার ১

খুলনার কয়রায় একটি মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ নিয়োগকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অধ্যাপক নজরুল ইসলামকে মারপিটের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার (৭ মে) র‌্যাব-৬-এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোসতাক আহমদ জানান, শনিবার রাতে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে কয়রা থানায় এ মামলা করেছেন।

মামলায় মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে প্রধান আসামি করে আট জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে। এ মামলার আসামি কয়রা উত্তরচক আমিনিয়া বহুমুখী কামিল মাদ্রাসার হেড ক্লার্ক কামরুলকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

র‌্যাব-৬ খুলনার স্পেশাল কোম্পানি কমান্ডার এম সরোয়ার হুসাইন বলেন, ‘শুক্রবার খুলনার কয়রা থানাধীন কয়রা উত্তরচক আমিনিয়া বহুমুখী কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষা পরিচালনার জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম কয়রাতে আসেন। সেখানে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদানের জন্য মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ নিয়োগ বোর্ডকে চাপ দেন। নিয়োগ বোর্ডের প্রতিনিধিরা চেয়ারম্যানের প্রস্তাবে রাজি না হয়ে পরীক্ষার কার্যক্রম শেষে গাড়িযোগে নিজ কর্মস্থলে ফিরছিলেন। তাদের বহন করা নিয়োগ বোর্ডের গাড়িটি ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে পৌঁছলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন গাড়িটি আটকে দেন।

‘এ সময় অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ইউপি চেয়ারম্যানের কথামতো নিয়োগপত্রে সই করতে রাজি না হলে ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে চেয়ারম্যানের বাড়িতে একটি কক্ষে অধ্যাপক নজরুলকে আটক করে মাদ্রাসার প্রধান করনিক আসামি কামরুল তার কাছ থেকে জোর করে নিয়োগপত্রে সই নেন। পরে আহত অবস্থায় অধ্যাপক নজরুলকে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে কয়রা থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় র‍্যাব-৬ খুলনার একটি দল রবিবার কয়রা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে আসামি কামরুলকে গ্রেফতার করে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতার কামরুলকে কয়রা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএমএস দোহা জানান, মামলার অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।