আইএইচটির হলে গাঁজার গাছ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

জামালপুরের ইসলামপুরে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) হল থেকে মাদক গ্রহণের সরঞ্জাম, মদের খালি বোতল এবং টবে রোপণ করা গাঁজার গাছ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ।

রবিবার (৪ জুন) দুপুরে আইএইচটির অধ্যক্ষ ডা. প্রদীপ কুমার সাহা জানান, আইএইচটির সহকারী পরিচালক ডাক্তার মোহাম্মদ রবিউল ইসলামকে তদন্ত টিমের প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করেছে কর্তৃপক্ষ।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন– প্রভাষক ডাক্তার শাহ মোখলেসুর রহমান, প্রভাষক ডাক্তার মালিহা মালবিকা মিমু, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) সানোয়ার হোসেন এবং মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ফার্মেসি) রবিউল ইসলাম।

আইএইচটির অধ্যক্ষ ডা. প্রদীপ কুমার সাহা বলেন, ‘হলের কক্ষ থেকে মাদক গ্রহণের সরঞ্জামসহ মদের খালি বোতল এবং টবের মধ্যে রোপণ করা একটি গাঁজার গাছ উদ্ধার করেছেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে আমরা একটি তদন্ত টিম গঠন করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী অভিযুক্তদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তদন্ত কমিটির সদস্য শাহ মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা তদন্ত কাজ শুরু করেছি। তদন্ত শেষে কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে আইএইচটির পঞ্চম ব্যাচের প্রথম বর্ষের ছাত্র ও উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য রিফাত আহমেদ ফারাজির নেতৃত্বে একদল বহিরাগত যুবক হলের ৩২০ নম্বর কক্ষে ঢুকে মাদক সেবন করতে থাকে। এতে কক্ষে অবস্থানরত জীবন মিয়া প্রতিবাদ করলে তার সঙ্গে রিফাত ও তার সঙ্গে থাকা যুবকদের মারামারি শুরু হয়। এতে রিফাত গুরুতর আহত হন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে রাত ৮টার দিকে ইসলামপুর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে রাত ১১টার দিকে জামালপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এসআই মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে হলে রাতভর অভিযান চালানো হয়। এ সময় একটি মোটরসাইকেলসহ ছাত্রাবাসের ৩২০ ও ২১৪ নম্বর কক্ষ থেকে মাদক গ্রহণের সরঞ্জাম, সাতটি মদের খালি বোতল এবং টবের মধ্যে রোপণ করা একটি গাঁজার গাছ উদ্ধার করে তারা। এ ব্যাপারে জামালপুর মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এসআই মোস্তাফিজুর রহমান ইসলামপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।