সাংবাদিক নাদিমের বাড়িতে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান

সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের জামালপুরের বকশীগঞ্জের বাড়িতে গেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুর ১২টার দিকে তিনি সেখানে গিয়ে শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন এবং কবর জিয়ারত করেন।

এ সময় নাদিমের হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে কামাল উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জানি, স্থানীয় প্রশাসনসহ সবাই চেষ্টা করছে, হত্যাকারী ও তাদের সহযোগীরা ধরা পড়বে। আমি নিজেও দাবি করি, সাংবাদিক নাদিমের পরিবারের যে অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া যেন সঠিকভাবে পরিচালিত হয়। এর মাধ্যমেই যারা অন্যায় করেছেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে, এটা আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘ঘটনার সময় অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের ছেলে কীভাবে মাথায় আঘাত করেছিলেন তা আমরা সবাই জানি। এখন তিনি পালিয়ে আছেন। আমার বিশ্বাস, তিনি পালিয়ে থাকতে পারবেন না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নাদিমের পরিবারের পাশে আছে। ইতোমধ্যে সেই প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই আমি বিশ্বাস করি, অপরাধীরা সবাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়বেন। সেটি সময়ের অপেক্ষা।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন– জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আশরাফুল আলম, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক, উপ-পরিচালক সুম্মিত পাইক, জামালপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) নাছির উদ্দিন আহমেদসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

১৪ জুন রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাটহাটি মোড়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম। এ সময় তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ১৭ জুন সকালে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের চর তিস্তাপাড়া গ্রাম থেকে প্রধান আসামি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান বাবুকে গ্রেফতার করে ঢাকায় নিয়ে আসে র‌্যাব।

আরও খবর: চেয়ারম্যানের ছেলে রিফাতকেও খুঁজছে র‍্যাব

                সাংবাদিক নাদিম হত্যা: ৯ আসামি রিমান্ডে