যশোরের ২ উপজেলা ডেঙ্গুর রেড জোন

খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২২ জন ডেঙ্গু রোগী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বিভাগের মধ্যে যশোর ও নড়াইল জেলায় বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য বিভাগ যশোর সদর ও অভয়নগর উপজেলাকে ডেঙ্গুর ‘রেড জোন’ ঘোষণা করেছে।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মনজুরুল মুর্শিদ জানান, এ পর্যন্ত খুলনা বিভাগে ডেঙ্গুতে কেউ মারা যাননি। যশোর ও নড়াইল জেলায় ডেঙ্গু রোগী বেশি। তাই যশোরের দুটি উপজেলাকে ডেঙ্গুর রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। বিভাগের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুমুক্ত রয়েছে।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক দফতর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে মাগুরায় ৬ জন, যশোরে ৫ জন, কুষ্টিয়ায় ৪ জন, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৪ জন, খুলনায় ২ জন, নড়াইলে একজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিভাগে ৩৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন– যশোরে ৮৫ জন, নড়াইলে ৬১ জন, মাগুরায় ৩৫ জন, কুষ্টিয়ায় ২৬ জন, সাতক্ষীরায় ২১ জন, বাগেরহাটে ১৬ জন, খুলনায় ১৪ জন, ঝিনাইদহে ৮ জন, মেহেরপুরে ৩ জন এবং খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৮০ জন।

যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাদিক বলেন, ‘যশোরে দ্রুতগতিতে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। এ কারণে বেশি রোগী শনাক্ত হওয়ায় সদর এবং অভয়নগর উপজেলাকে ডেঙ্গুর “রেড জোন” ঘোষণা করা হয়েছে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’

যশোর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত জুন মাসের শেষ নাগাদ যশোরে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু হয়। ১ জুলাই থেকে এ পরিস্থিতি মনিটরিং শুরু করে স্বাস্থ্য বিভাগ।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. পার্থ প্রতিম চক্রবর্তী জানান, বর্তমানে জেনারেল হাসপাতালে নয় জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৭ জন এবং নারী ২ জন। রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। প্রয়োজনে হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডকে রেড জোন হিসেবে ব্যবহার করা হবে।