পতিত জমিতে সৌদির খেজুর চাষ করে সফল হানিফা

সৌদি আরবের বিখ্যাত আজোয়া খেজুর চাষ করে সফল আবু হানিফা। মরুভূমির আবহাওয়ায় উৎপাদিত এ ফল এখন বগুড়ার নন্দীগ্রামের আমড়া গোহাইল গ্রামের আবু হানিফার বাগানে গাছে গাছে ঝুলছে। তার খেজুরের বাগান দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্তের মানুষ ভিড় করছেন। এ ছাড়া বাগানে সাথী ফসল হিসেবে আম, জাম্বুরা ও বরই চাষ করেছেন তিনি। 

আবু হানিফা জানান, পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে সৌদি আরবে অনেক খেজুর বাগান ঘুরে দেখেন তিনি। তখন তার মধ্যে দেশের মাটিতে মরুভূমির খেজুর চাষের ইচ্ছা জাগে। পরে তিনি সেখান থেকে আজোয়া জাতের খেজুরের ১৬টি বীজ সংগ্রহ করেন। সেই বীজ ২০১৯ সালে নিজ বাড়ির পাশে পতিত নয় শতক জমিতে রোপণ করেন। সেই বীজ থেকে হওয়া গাছগুলো ধীরে ধীরে বড় হয় এবং তাতে ফলন আসে। বাগানে ১৩টি গাছ বড় হয়। সারিবদ্ধভাবে লাগানো গাছগুলো এখন তাকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। গত বছর অল্প ফল ধরেছিল। এবার দুটি গাছে বেশ খেজুর ধরেছে। খেজুর বাগানের পাশাপাশি গত বছর সংগ্রহ করা বীজ থেকে চারাও তৈরি করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘২০-২৫ দিনের মধ্যে খেজুরগুলো পরিপূর্ণভাবে পেকে যাবে। পরের বছর হয়তো আরও কিছু গাছে ফল আসবে। বাগান বৃদ্ধি ও চারা বিক্রির জন্য আমি আজোয়া ও মরিয়ম জাতের খেজুরের বীজ সংগ্রহ করে চারা তৈরি করেছি। বাগানে সাথী ফসল হিসেবে আম, জাম্বুরা ও বরই গাছ লাগিয়েছি। এসব গাছেও ফল আসছে। প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ খেজুর বাগান ও ফল দেখতে ভিড় করেন। অনেকে বাগান করতে আমার পরামর্শ নেন।’ আবু হানিফা তার এ খেজুর বাগান জেলার সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু বলেন, ‘আমি মাঝে মধ্যে আবু হানিফার খেজুর বাগানে যাই। উনিই প্রথম সৌদি আরবের আজোয়া খেজুর চাষ করেছেন। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তাকে সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন খেজুর গাছের চারাও উৎপাদন করছেন।’