ঘুমধুম সীমান্তে আবারও পাওয়া গেলো মর্টার শেল

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে একদিনের ব্যবধানে আরও একটি মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মান্নান জানান, শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু পশ্চিমকূল এলাকা থেকে এটি উদ্ধার করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘুমধুমের নোয়াপাড়া এলাকা থেকে একটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুরে তুমব্রু পশ্চিমকূল বিজিবি ক্যাম্পের কাছাকাছি এলাকার ধানক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে এক‌টি মর্টার শেল দেখতে পেয়ে প্রশাসনকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে সেটি নিজেদের হেফাজতে নেন। এ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়। মিয়ানমারে সংঘাতের ঘটনায় সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার সময় এগুলো ফেলে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি জানান, ধানক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে মর্টার শেল দেখতে পেয়ে খবর দিলে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে সেটি নিজেদের হেফাজতে নেন।

সোমবার মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল বিস্ফোরণে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঘুমধুম এলাকায় ২ জন নিহত হয়। মঙ্গলবার এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নাইক্ষ‌্যংছ‌ড়ি থানায় মামলা হ‌য়। একই দিন ভোরে মধ্যমপাড়ার সৈয়দ নূরের আমবাগানে বেশ কিছু গুলি ও একটি মর্টার শেল এসে পড়ে। তবে এতে হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি।

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত-সংলগ্ন এলাকায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ জোরালো করেছে আরাকান আর্মিসহ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। তারা সম্মিলিতভাবে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। এর মধ্যে তারা কোনও কোনও সীমান্ত শহর দখল করে নিয়েছে। এ অবস্থায় বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধে টিকতে না পেরে গত শ‌নিবার রাত থে‌কে ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন বিজিপির ২৩০ সদস্য। পরে তাদের বিজিবির তত্ত্বাবধানে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১০০ জনকে টেকনাফ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।