নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মিছিল, সাত জন গ্রেফতার

সিলেটে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের মিছিলে অংশগ্রহণের দায়ে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (২ মার্চ) দিবাগত রাত পর্যন্ত নগরীতে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।

সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাত জনকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার তাদের পৃথক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন– পূর্ব পাঠানটুলা লন্ডনী  রোডের হাফিজ খানের ছেলে সাফায়েত খান (৩৪),  মদিনা মার্কেট এলাকার গার্ডেন গলি বাসিন্দা রাহাত নুরের ছেলে জহিরুল ইসলাম (১৯), পাঠানটুলা এলাকার জালাল আহমদের ছেলে সোহেল আহমদ সানী (১৮), সিলেটের টুকেরবাজার নালিয়া এলাকার রমণী মোহন করের ছেলে রবিন কর (২৩), নাইওরপুল এলাকার ফারুক আহমদের ছেলে ফাহিম আহমদ (২৩), শামীমাবাদ এলাকার নুর মিয়ার ছেলে রাজন আহমদ রমজান (২৩), পাঠানটুলা এলাকার মৃত হাফিজ খানের ছেলে বশির খান লাল (৫০) এবং খাদিমপাড়া এলাকার মতিন মিয়ার ছেলে সোয়েব আহমেদ (২৫)।

জানা যায়, বুধবার (২ মার্চ) নগরীর ধোপাদীঘিরপাড় এলাকায় মিছিল ও লিফলেট বিতরণ করে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ। ১৫-২০ জনের একটি দল মহানগর ছাত্রলীগের ব্যানারে এই মিছিল বের করে। ব্যানারে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের ছবি ছিল এবং তার নামে স্লোগান দিতেও শোনা যায়। পরে এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওটি আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড পেজেও আপলোড করা হয়েছে।

এদিকে, ওই মিছিলকে কেন্দ্র করে বুধবার (২ মার্চ) কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মৌলভীবাজার-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এবং সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রুহেল আহমদ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ সিরাজের ভাই শামীমাবাদ এলাকার বাসিন্দা ও লন্ডন প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলামের বাসায় হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এসব হামলা ও ভাঙচুর তাদের (আওয়ামী লীগ) দলেরই কোনও কৌশলের অংশ। তাদের নিজ দলের নেতাকর্মীরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। দেশকে অস্থিতিশীল করতে নানা ষড়যন্ত্র করছে তারা। বাসায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা তারই অংশ। হামলা-ভাঙচুরের সঙ্গে আমাদের দলের কোনও নেতাকর্মী জড়িত নন।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ওই তিন নেতার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা হয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, আনোয়ারুজ্জামান ৫ আগস্টের পরপর লন্ডন চলে যান। অন্যদিকে শফিউল আলম চৌধুরী ভারতের কলকাতায় রয়েছেন। এ ছাড়া রুহেলও দেশের বাইরে রয়েছেন।