হিলিতে কমপ্লিট শাটডাউনে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দু ভাগ করার প্রতিবাদে এবং চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে দ্বিতীয় দিনের মতো কমপ্লিট শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি পালন করছেন কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের এই কর্মসূচির কারণে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দ্বিতীয় দিনের মতো রবিবার সকাল থেকে এ কর্মসূচি পালন চলছে। হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন কার্যালয় খোলা থাকলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ থেকে বিরত রয়েছেন। তবে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দু দেশের মাঝে পাসপোর্টে যাত্রী পারাপার কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক বলেন, ‘কাস্টমসের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির কারণে গতকাল বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। তবে কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ না করায় আমদানিকৃত পণ্যের বিলঅবএন্ট্রি সাবমিট থেকে শুরু করে পরীক্ষণ শুল্কায়ন বা আউটপাশ কার্যক্রম না হওয়ায় বন্দরের ভেতরেই সেসব ট্রাক আটকে পড়ে আছে। এতে জিরাসহ বেশ কিছু পণ্য হল্টেজ থাকার কারণে বন্দরের বাড়তি মাশুল গুনতে হবে। সেই সঙ্গে ব্যাংক ইন্টারেস্ট বাড়বে। গাড়ি প্রবেশ করতে না পারায় বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে। এ ছাড়া তীব্র গরমের কারণে পণ্যের গুণগত মান খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সব মিলিয়ে এই আন্দোলনের কারণে আমদানিকারকরা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আজ বন্দর দিয়ে কোনও পণ্যবাহী ট্রাক ভারত থেকে দেশে প্রবেশ করেনি। আর প্রবেশ করলেও কাস্টমস কোনও কাজ করবে না বলে আমাদের জানিয়েছে। এর ফলে সেসব ট্রাক বন্দরে আটকা পড়ে থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হবেন আমদানিকারকরা।’

এদিকে, কমপ্লিট শাটডাউনের কারণে সরকার প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বন্দরে পণ্য লোড আনলোড কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন বন্দরে কর্মরত কয়েকশ শ্রমিক। কাজ না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের।

হিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির কারণে ব্যবসায়ীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এর পাশাপাশি পণ্য দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারায় দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে সরকার প্রতিদিন রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত সরকার দ্রুত সমস্যার সমাধান করবে।’