জগন্নাথ পাঁড়ের গ্রামের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটায়। বরিশাল শহরে বসবাস করছেন তার স্ত্রী ও শ্বশুর পরিবারের সদস্যরা। দুই বিচারক হত্যা মামলার সর্বশেষ আসামি আরিফের ফাঁসি কার্যকরের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তাদের কেউই স্বনামে বা বেনামে কিছইু বলতে চাননি।
জগন্নাথ পাঁড়ের স্ত্রীর চাচা মানিক মুখার্জি কুটু জানান, জগন্নাথ পাঁড়ের স্ত্রী ১৩ বছরের সন্তানকে নিয়ে তার মা-বাবার সংসারে থাকেন। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। স্বজনরাও সহযোগিতা করছেন।
মানিক মুখার্জি আরও জানান, দুই বছর বয়সে বাবা হারানো সেই ছেলেশিশুটি এখন বরিশালের একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ছে। ঠাকুরমা (নানি) নাতিকে নিয়ে স্কুলে যাওয়া-আসা করেন। এখন পর্যন্ত কখনও তাকে কোথাও একা যেতে দেননি মা ও স্বজনরা। সেই বিভীষিকাময় দিনের স্মৃতি আর দণ্ডিত ঘাতক গোষ্ঠির প্রতিহিংসার ভয়ে এখনও কুঁকড়ে থাকেন তারা। আতঙ্কে এমনকি একটি সাইকেলও কিনে দেওয়া হয়নি ছেলেকে। ছেলে বড়ো হয়ে বাবার মতো বিচারক বা অন্য কোনও পেশায় নয়, শিক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে এমনটাই আশা মায়ের।
মানিক মুখার্জি জানান, দুই বিচারক হত্যা মামলার রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে তারা সন্তুষ্ট। তবে এখন নিজেদের মেয়ের সুখ আর মর্জির বাইরে কিছুই তারা আশা করেন না। আগামী ২৯ অক্টোবর মহাশ্মশান-দীপালি অনুষ্ঠানে তারা সবাই যাবেন শ্মশানে জগন্নাথ পাঁড়ের সমাধিতে আলো জ্বেলে দিতে। তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করতে।
আরও পড়ুন-
‘আরিফের ফাঁসি হওয়ায় তৃপ্তি পাচ্ছি’
/এফএস/ এপিএইচ/