বরিশাল সিটি করপোরেশনে কর্মবিরতি, বন্ধ নাগরিক সেবা

বকেয়া বেতন ভাতা ও প্রভিডেন্ট ফান্ড জমার দাবিতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কর্মবিরতি এবং অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন। রবিবার তৃতীয় দিনেও এসব কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ায় অচল হয়ে পড়েছে সিটি করপোরেশনের নাগরিক সেবা কার্যক্রম।

সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মবিরতিইতোমধ্যে কর্মবিরতিতে সমস্যার সমাধান না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কর্মচারীরা। সকালে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করলেও কেউ কর্মস্থলে যোগ দেননি। কর্মবিরতির পাশাপাশি নগর ভবনের সামনে তাবু টানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি এবং দাবি তুলে ধরে বক্তব্য রেখেছেন তারা।

এদিকে, অবস্থান কর্মসূচির কারণে অচল অবস্থা বিরাজ করায় নগর ভবনভিত্তিক সব নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নগরবাসী।

আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা কনজারভেটিভ অফিসার দীপক লাল মৃধা বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের নিয়মিত ৫৪২ এবং অনিয়মিত ১৪শ’ কর্মচারী গত পাঁচ মাস ধরে বেতন না পেয়ে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনিয়মিত কর্মচারীদের সরকার নির্ধারিত সাড়ে ৪শ’ টাকা বেতন দু’মাস দেওয়ার পর ফের দেড় শ’ টাকা করে দিয়ে তাও বন্ধ করা হয়েছে।’ এর নেপথ্যে মেয়রের নিজ লাভ ও অর্থ লুটপাটই দায়ী বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের যানবাহন শাখার পরিদর্শক আতিকুল ইসলাম মানিক জানান, বিগত সময়ের চেয়ে করপোরেশনের আয়ের পরিমান বেড়েছে কয়েকগুণ। কিন্তু তারপরও বেতন বঞ্চিত হচ্ছে এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বিসিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আনিছুজ্জামান বলেন, ‘কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ডের নামে প্রতি মাসে বেতন থেকে একটি অংশ কেটে রাখা হচ্ছে। কিন্তু গত ৩৫ মাস ধরে এই টাকা নিলেও খোলা হয়নি কোনও প্রভিডেন্ট ফান্ড।’

এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, ‘প্রয়োজনের তুলনায় এখানে কর্মচারীর সংখ্যা বেশি। আর কর আদায় ঠিকমত হচ্ছে না বলে কর্মচারীদের বেতন বিলম্ব হচ্ছে। আমাদেরকে আগে কোনও কিছুই না জানিয়ে হঠাৎ করে গত বুধবার (১ জানুয়ারি) থেকে আন্দোলন শুরু করেছে। এখন আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

/এমও/