ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টি হচ্ছে। রবিবার দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সন্ধ্যার পর বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হওয়া বইছে। এ অবস্থায় মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রামগতির চর আবদুল্লাহ, বয়ারচর, তেলিরচর, চর গজারিয়া, বড়খেরী, কমলনগর উপজেলার লুধুয়া, মাতাব্বরহাট, নাছিরগঞ্জ, রায়পুর উপজেলার চর কাচিয়া, চরইন্দ্রুরিয়া, চরবংশী, চর জালিয়া ও চর খাসিয়া এবং সদর উপজেলার চরমেঘাসহ ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এবং লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের এমপি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন। তারা জানান, মেঘনা উপকূলীয় এলাকার ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরি করে সহায়তা করা হবে।
এছাড়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে লক্ষ্মীপুর-ভোলা ও বরিশাল নৌ-রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় মজুচৌধুরীরহাট ঘাটে আটকা পড়েছে কয়েকশ যাত্রী। শনিবার বিকাল থেকে তারা ঘাটে আটকা পড়ে আছেন। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে এই নৌ-রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেঘনায় স্বাভাবিকের চেয়ে দুই-তিন ফুট পানি বেড়েছে। জোয়ারের পানি বাড়ছে। উপকূলীয় এলাকায় ১৮৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ওসব আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষজন উঠেছেন। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৬৪টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রেখেছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন জানায়, দ্বীপচর চরমেঘা থেকে রাতে ১০০ মানুষকে মজুচৌধুরীরহাট আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া চর আবদুল্লাহ, চর গজারিয়া, বয়ারচর, তেলির চর, চর মেঘা, চরকাচিয়া ও জরঘাসিয়াসহ বিভিন্ন চরাঞ্চল থেকে মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় সাড়ে ৪০০ মেট্রিক টন চাল ও ২০ লাখ টাকা মজুত রাখা হয়েছে। মজুত রাখা হয়েছে শুকনো খাবার।