ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বরগুনায় সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। রবিবার (২৬ মে) সন্ধ্যার পরই বৃষ্টির সঙ্গে বইতে শুরু করেছে ঝোড়ো হাওয়া। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বিকাল থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসেন উপকূলের মানুষজন। কিন্তু আশ্রয়কেন্দ্রে আলোর ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
সরেজমিনে সদর উপজেলার পোটকাখালী প্রাথমিক বিদ্যালয় সাইক্লোন শেল্টারে গিয়ে দেখা গেছে, এই এলাকার প্রায় দুই শতাধিক নারী, পুরুষ ও শিশু আশ্রয় নিয়েছেন শেল্টারটিতে। অনেকে তাদের গবাদিপশুকে নিরাপদে রাখতে নিয়ে এসেছেন। তবে আশ্রয়কেন্দ্রে আলো না থাকায় বিপাকে পড়েছেন তারা।
সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেওয়া পোটকাখালী এলাকার বাসিন্দা হাসিনা বেগম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করায় নিরাপদে থাকতে ছেলেমেয়েকে নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছি। রাত হয়েছে, কিন্তু আমাদের জন্য কোনও আলোর ব্যবস্থা নেই। সন্ধ্যার পর থেকে আমরা অন্ধকারে আছি।’
আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করা পারভীন আক্তার বলেন, ‘ঘরে পানি উঠায় বিকালে আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছি। রাত ৯টা পর্যন্ত অন্ধকারে বসে আছি। কোনও আলোর ব্যবস্থা করেননি সংশ্লিষ্টরা।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম মিঞা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গাছপালা ভেঙে বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে; তাই বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ রয়েছে। যেসব আশ্রয়কেন্দ্রে আলো নেই, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে সেখানে মোমবাতি এবং চার্জার লাইটের ব্যবস্থা করে দেবো। প্রতিটি কেন্দ্রে শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’