ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। দুর্গত মানুষের জন্য এক হাজার ৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ২২১টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত আছে। পাশাপাশি উপকূল থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এ অবস্থায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে বসবাসকারী এবং উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলোকে রবিবার বিকাল থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়। আশ্রয়কেন্দ্রে আসার সময় লোকজন সঙ্গে করে নিয়ে এনেছেন তাদের গৃহপালিত পশু, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও মুরগিসহ অন্যান্য পশু।
ইতোমধ্যে জেলার ছয় উপকূলীয় উপজেলার ৪৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে ১২ হাজার মানুষ। পাশাপাশি ৬৯৬টি গবাদিপশু আনা হয়েছে। রাত ১০টার দিকে বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার।
জেলা প্রশাসনের কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, মীরসরাই উপজেলার ৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৯৭ পুরুষ, ২০৫ নারী, ৪৫ শিশু ও একজন প্রতিবন্ধী ঠাঁই নিয়েছেন। সীতাকুণ্ডু উপজেলার ৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৪৫৭ পুরুষ, ৩৯৭ নারী, ১৩৫ শিশু এবং দুজন প্রতিবন্ধী অবস্থান নিয়েছেন। আনোয়ারা উপজেলার ২৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৯৩ পুরুষ, ২৮৩ নারী, ১৭৭ শিশু, কর্ণফুলীর ১৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৫ পুরুষ, ৪০ নারী, ২৫ শিশু, বাঁশখালীর ১১০টি আশ্রয়কেন্দ্রে এক হাজার ৯১৫ পুরুষ, এক হাজার ৯৬৪ নারী, ৪২০ শিশু এবং পাঁচ প্রতিবন্ধী, সন্দ্বীপ উপজেলার ১৬২ আশ্রয়কেন্দ্রে এক হাজার ৯৫৫ পুরুষ, দুই হাজার ৮৫ নারী, ৯৬৫ শিশু এবং পাঁচ প্রতিবন্ধী ঠাঁই নিয়েছেন। তাদের মাঝে চিড়া, মুড়ি, গুড়, বিস্কুট এবং বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলায় জেলা সিভির সার্জনের পক্ষ থেকে ২২১টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮২টি মেডিক্যাল টিমের কার্যক্রম চালু হয়েছে।