গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে গেল শাশুড়ি-ননদ, হত্যার অভিযোগ স্বজনদের

ঝালকাঠিঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় মারুফা বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে শাশুড়ি, ননদসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে সাড়ে ১০টার দিকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। মারুফার স্বজনদের অভিযোগ, তাকে হত্যা করে লাশ ফেলে যাওয়া হয়েছে। 

নলছিটি উপজেলার ষাটপাকিয়া গ্রামের মৃত মানিক মিয়ার মেয়ে মারুফা। তিনি একই গ্রামের সৌদি প্রবাসী সুমনের স্ত্রী। মারুফা নলছিটি ডিগ্রি কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।  

মারুফার স্বজনরা জানান, চার বছর আগে ষাটপাকিয়া গ্রামের মো. সুলতান হাওলাদারের ছেলে সুমন হাওলাদারের সঙ্গে মারুফার বিয়ে হয়। বিয়ের পর সুমন সৌদি আরবে চলে যায়। এরপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারুফাকে নানাভাবে নির্যাতন করতো। তারা আরও অভিযোগ করেন, সোমবার রাত ৮টার দিকে মারুফাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় তার শাশুড়ি, ননদসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে মারুফার মরদেহ হাসপাতালে রেখে তারা পালিয়ে যায়।

মারুফার মা লাকী বেগম বলেন, ‘মারুফার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমার মেয়ের হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাই।’

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জোবায়ের রহমান জানান, ‘কী কারণে মারুফার মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না।’  মঙ্গলবার বিকাল ৬টার দিকে গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে মারুফাকে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেছে পরিবার।

ঝালকাঠী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মারুফার মরদেহের ময়না তদন্ত করা হবে। পাশাপাশি বিষয়টি নলছিটি থানা পুলিশ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।’

/এফএস/ 

আরও পড়ুন- 

সৈয়দ আশরাফের যে ছবি ভাইরাল

‘নিজ হাতে গড়া ভাস্কর্যের অবমাননা প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না’