এদিকে বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোর ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আমির হোসেন বলেন, ‘এখনও আবহাওয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। মানুষজনকে নিরাপদে রাখতে আমরা এখনও কাজ করে যাচ্ছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও নিরূপণ করা যায়নি।’
ঘূর্ণিঝড় মোরার কারণে সোমবার বিকাল থেকে বরিশাল বিভাগে সব ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে নৌ-যোগযোগ নির্ভর এ অঞ্চলের বহু মানুষ বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়েন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিবহন পরিদর্শক মো. রিয়াদ হোসেন বলেন, বরিশাল নদী বন্দরের জন্য এখনও ২ নম্বর সতর্ক সংকেত রয়েছে। দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী ট্রিপল ডেকার লঞ্চগুলো নদী বন্দরে নোঙ্গর করে আছে।
মঙ্গলবার সকাল দশটার পর থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি এবং মাঝে-মধ্যে দমকা বাতাস বইলেও আবহাওয়ার গুমোট ভাব কমেনি। সকালে অভ্যন্তরীন রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকলেও যাত্রীরা পন্টুনে আসতে থাকেন বলে জানান ভোলার যাত্রী মো. মকবুল হোসেন।
‘মোরা’ মোকাবিলায় বরিশাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৩৬ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয় এবং ১০২ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়।
/এফএস/
আরও পড়ুন-
আধিপত্য বিস্তারে দুই পরিবারের দ্বন্দ্বের শিকার বিএনপি নেতা মিঠু!