আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগ

মাধবখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান লাভলুর বিরুদ্ধে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় বন বিভাগের সামাজিক বনায়নের সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই তিনি পায়রা নদী তীরবর্তী রামপুর বেরিবাঁধের ওপর সামাজিক বনায়নের ৫টি গাছ মাত্র ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।

কেটে ফেলা সামাজিক বনায়নের ৫টি গাছ (ছবি: পটুয়াখালী প্রতিনিধি)জানা যায়, রামপুর বেরিবাঁধের সামাজিক বনায়নের ৩টি বাবলা ও ২টি আকাশমনি গাছ ওই এলাকার গাছ ব্যাবসায়ী তাওহীদ তালুকদারের কাছে বিক্রি করেন আ.লীগ নেতা মো. মিজানুর রহমান লাভলু। গত শনিবার গাছগুলো কেটে নেওয়ার সময় এলাকাবাসী মির্জাগঞ্জ বনবিভাগকে অবহিত করলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বনবিভাগের লোকজন গাছগুলো জব্দ করেন।

এ ব্যাপারে রামপুর সামাজিক বনায়নের সহ-সভাপতি মো. খালেক সিকদার বলেন, ‘আ.লীগ সভাপতি মিজানুর রহমান কোনও নিয়ম না মেনেই বেরিবাঁধের ওপর সামাজিক বনায়নের ৫টি গাছ বিক্রি করেছিলেন।’

মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান লাভলু বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত বেরিবাঁধের একটি অংশ মেরামতের জন্য এলাকার লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করেই ওই গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছিলো।’

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, গাছগুলো জব্দ করা হয়েছে। তদন্তের পর জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

/এমও/