বরগুনার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা ও টিভির স্ক্রলে এ সংক্রান্ত সংবাদ দেখেছি। তবে আমাদের হাতে এখনও কোনও কাগজপত্র আসেনি।’
ইউএনও গাজী তারিক সালমনকে প্রশাসনিক সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় জেলা প্রশাসক ড. মো. বশিরুল আলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে বিভিন্ন টেলিভিশনে স্কল দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. মো. বশিরুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি যেহেতু সরকারি চাকরি করি, সেহেতু সরকার যে নির্দেশনা দেবে, তা আমি মানতে বাধ্য। বদলি একটি সাধারণ প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ায় যেখানে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, আমি সেখানেই দায়িত্ব পালন করব।’
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে পঞ্চম শ্রেণির এক শিশুর আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করায় জাতির পিতার ছবি বিকৃতির অভিযোগে বরগুনার ইউএনও গাজী তারিক সালমনের বিরুদ্ধে ৭ জুন তার বিরুদ্ধে বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানির মামলা দায়ের করেন বরিশাল আইনজীবী সমিতির সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাজু। ওইদিন মামলা আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে তাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে সমন জারির আদেশ দেন।
গত ১৯ জুলাই গাজী তারিক সালমন আদালতে হাজির হলে প্রথমে তার জামিন নামঞ্জুর করে হাজতে পাঠান বিচারক। পরে তাকে জামিন দেন আদালত।
এদিকে, শিশুর আঁকা জাতির জনকের ছবি ব্যবহার করে কার্ড ছাপানোর কারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজেহাল হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নির্দেশে অ্যাডভোকেট ওবায়েদ উল্লাহ সাজুকে আওয়ামী লীগের বরিশাল জেলা শাখার ধর্মষিয়ক সম্পাদকের পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এরপর রবিবার (২৩ জুলাই) তিনি মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন।
/বিএল/এমএনএইচ/