বিচারকের আদেশ ছাড়াই সমন, বেঞ্চ সহকারী বরখাস্ত

বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম বরিশালের প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে দায়ের মামলায় বিচারকের আদেশ ছাড়াই সমন পাঠানোয় বরখাস্ত হয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) সাইফুল ইসলাম। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পুলিশের আইজিপিসহ মামলার ১০ জন বিবাদীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। তাকে আগামী তিনদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের (ভারপ্রাপ্ত) বিচারক এবং বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন। বুধবার (১৮ অক্টোবর) রাতে তাকে এ নোটিশ দেওয়া হয়।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল গাফফার এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল গাফফার বলেন, রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স সদস্য (কনস্টবল নং ৮০৯) জসিমউদ্দিনকে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ১৮ মে সাময়িক বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ। এ আদেশের বিরুদ্ধে জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি, আরআরএফ’র কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার), আরআই, রেশন স্টোরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পোশাক ভান্ডারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, আরআরএফ  অফিসের প্রধান সহকারী ও হিসাব রক্ষকসহ ১০ জনকে বিবাদী করে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেন।

আদালতের বিচারক আবেদনটি গ্রহণ করে তা মামলা হওয়ার যোগ্য কিনা সে ব্যাপারে শুনানির জন্য আগামী ১ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

কিন্তু ওই ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) সাইফুল ইসলাম গত ১১ অক্টোবর বিচারকের অজ্ঞাতে নিজেই স্বাক্ষর করে ওই আবেদনের বিবাদী স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি ও রেঞ্জ ডিআইজিসহ ঊর্ধ্বতন ১০ পুলিশ কর্মকর্তাকে রেজিস্ট্রি ডাকে সমন পাঠান।

এ খবর জানাজানি হলে ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন বুধবার রাতে বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করে আগামী তিনদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. মজিবর রহমান জানান, বেঞ্চ সহকারী হয়ে সাইফুল বিচারকের ভূমিকা নিয়েছেন। তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে কিংবা অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে বিচারকের আদেশ ছাড়াই সমন জারি করেছেন।

অভিযুক্ত প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) সাইফুল ইসলাম জানান, কাজের চাপ থাকায় ভুলক্রমে সমন পাঠানো হয়েছে। কারণ দর্শানোর জবাব দিয়ে তিনি এ অনিচ্ছাকৃত ঘটনায় নিজের ভুল স্বীকার করে আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন।

আরও পড়ুন:

মিয়ানমার সেনাদের টাকা দিয়ে টিকে থাকা বিত্তশালীরাও আসছে এবার