বরিশালে দ্বিতীয় দিনের মতো পরিবহন ধর্মঘট চলছে

বাসবাস মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে দ্বিতীয় দিনের মতো বরিশাল থেকে ৬ জেলার ১৭ রুটে বাস ধর্মঘট চলছে । এ কারণে বৃহস্পতিবারও (১৫ মার্চ) সকাল থেকে বরিশালের রূপাতলি বাস টার্মিনাল থেকে পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, খুলনা, বাগেরহাট রুট বন্ধ রয়েছে।

এদিকে সংকট নিরসনে আজ দুপুরে বিভাগীয় কমিশনার বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ঝালকাঠি জেলার বাস মালিক শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে কথা রয়েছে। ধর্মঘটের দাবিগুলোর মধ্যে মির্জাগঞ্জ উপজেলাধীন চান্দুখালী স্থানে কতিপয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় ও যাত্রী হয়রানিসহ বরিশাল-পটুয়াখালী-বরগুনা মালিক সমিতির গাড়ি ঝালকাঠিতে প্রবেশ করতে না-দেওয়ার বিষয়টিও রয়েছে।

এদিকে ধর্মঘটের ফলে গন্তব্যে যেতে না পেরে যাত্রীরা, বিশেষ করে পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা বিপাকে পড়েছেন ।

বরিশাল বিভাগীয় বাস মালিক-শ্রমিক সমন্বয় ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক শাহিন বলেন, ‘কেউ তার ইচ্ছেমতো নিয়ম বানিয়ে চলতে পারে না। সরকারের যে নিয়মনীতি রয়েছে সে অনুযায়ী আমরা চলতে চাই। তাই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।’

বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন শিপন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ঝালকাঠির সড়ক হয়ে দক্ষিণের ছয়টি রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।’

ইতোমধ্যে ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতি নলছিটির রায়াপুর নামক এলাকায় অবৈধভাবে অস্থায়ী বাস টার্মিনাল করে সেখান থেকে তাদের জেলাসহ পিরোজপুর, বাগেরহাট ও খুলনা জেলায় বাস চালাচ্ছে।
কিন্তু বরিশাল মালিক সমিতির গাড়ি ঝালকাটি হয়ে অন্যান্য রুটে চলাচল করতে দিচ্ছে না। এনিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বার বার বৈঠক হলেও এর সমাধান হয়নি। তাই বুধবার সকাল থেকে বরিশাল থেকে দক্ষিণের ১৭ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন মৃধা জানান, ‘বরিশালের সঙ্গে সমন্বয় করে যেহেতু তারা বাস চালনা করেন, তাই তাদের ধর্মঘটের প্রতি সমর্থন দিয়ে পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতিও বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে।’