ঝালকাঠিতে মন্ত্রীর নামে চাঁদাবাজির চেষ্টায় মামলা: এসআই প্রত্যাহার

ঝালকাঠিঝালকাঠিতে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর নাম ভাঙিয়ে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড ডিপোতে চাঁদাবাজির চেষ্টা করায় দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশের এক উপ-পরিদর্শককে প্রত্যাহার (ক্লোজ) করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার মূল আসামি সাবেক ছাত্রদল নেতা ইয়াছিন ভুঁইয়া পলাতক রয়েছে। ইয়াছিন শহরের ডাক্তারপট্টি এলাকার প্রয়াত রশিদ ভুঁইয়ার ছেলে।

ডিপো সুপার মাহাবুবুর রহমান এ ঘটনায় রবিবার রাতেই প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে সদর থানায় ইয়াসিনসহ অজ্ঞাত আরও একজনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঝালকাঠি সদর থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. আবু তাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বরাত দিয়ে ঝালকাঠি সদর থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. আবু তাহের জানান, দুপুরে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড ঝালকাঠির ডিপো সুপার মাহাবুবুর রহমানের কাছে ঝালকাঠি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক বশির উদ্দিনকে নিয়ে আসেন ইয়াছিন ভুঁইয়া। ইয়াছিন নিজেকে মন্ত্রীর লোক পরিচয় দিয়ে বলেন, মন্ত্রী তাদের পাঠিয়েছেন। পরে মন্ত্রী ২ লাখ টাকা চেয়ে পাঠিয়েছেন বলে তিনি ডিপো সুপার মাহাবুবুর রহমানকে জানান। এমনকি মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলিয়ে দেওয়ার কথা বলে তিনি অন্য এক ব্যক্তি সঙ্গে তাকে কথা বলিয়ে দেন।

বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায় ডিপো সুপার বিষয়টি ঝালকাঠি থানায় ফোন করে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই ইয়াছিন উপ-পরিদর্শক বশির উদ্দিনকে নিয়ে সটকে পড়ে।

এ ব্যাপারে ঝালকাঠি পুলিশ সুপার মো. জোবায়েদুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওই উপ-পরিদর্শককে মিথ্যা কথা বলে ইয়াছিন ডিপোতে নিয়ে গেছে। ওই পুলিশ সদস্য প্রতারণার পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন না। তবে তাকে ফাঁড়ি থেকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ওই উপ-পরিদর্শক ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা সে ব্যাপারে তদন্ত চলছে।

এদিকে ফোনের অপর প্রাপ্ত থেকে মন্ত্রী সেজে যে ব্যক্তি কথা বলে প্রতারণা করেছে তাকেসহ মামলার প্রধান আসামি ইয়াছিনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি মো. আবু তাহের।