মল ঢেলে মাদ্রাসা সুপারকে লাঞ্ছনার ঘটনায় আরও একজন গ্রেফতার

বরিশালে মাদ্রাসা সুপারকে লাঞ্ছনাবরিশালের বাকেরগঞ্জে মাদ্রাসা সুপারকে মারধর ও মাথায় মল ঢেলে লাঞ্ছনার ঘটনায় সোহেল খন্দকার নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  রবিবার (২০ মে) দুপুরে নগরীর লাইন রোডে জেলা পুলিশের সদর সার্কেল অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে বাকেরগঞ্জ ও বাবুগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মফিজুল ইসলাম এ তথ্য জানান। এ নিয়ে এ ঘটনায় এই পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার (১৯ মে) দিবাগত রাতে এই ঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামি সোহেলকে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ থানার মহিষকাটা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

সোহেল বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা গ্রামের এমদাদ খন্দকারের ছেলে সোহেল। তাকে তদন্তের স্বার্থে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার রিমান্ড আবেদন করা হবে।’

এ মামলায় সোহেলের আগে গ্রেফতার হওয়া অন্য তিন জন হলো বাকেরগঞ্জ উপজেলার কাঠালিয়া গ্রামের মৃত হাসেম মুসল্লির ছেলে মিনজু মুসল্লি, একই এলাকার ফারুক মুসল্লির ছেলে ফরহাদ মুসল্লি  ও বাকেরগঞ্জ পৌরসভার হারুন হাওলাদারের ছেলে বেল্লাল হোসেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মফিজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘মাদ্রাসা সুপারের মাথায় ও শরীরে মানুষের মল ঢেলে দেওয়ার দুঃখজনক ঘটনায় এর আগে গ্রেফতার করা দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা রিমান্ড আবেদন করলে আদালত গত ১৬ মে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’

উল্লেখ্য, গত ১১ মে বাকেরগঞ্জ উপজেলার কাঠালিয়া ইসলামিয়া দারুচ্ছুন্নাৎ দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সুপার মাওলানা আবু হানিফকে মারধর ও মাথায় মল ঢেলে লাঞ্ছিত এবং তার ভিডিও ধারণ করা হয়। লাঞ্ছনার শিকার আবু হানিফ ও তার পরিবার লোকলজ্জায় বিষয়টি গোপন রাখতে চাইলেও ১৩ মে লাঞ্ছনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।

পরে আবু হানিফ বাদী হয়ে নিজের ছোট ভাই জাকারিয়া হোসেন জাকিরসহ আট জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও পাঁচ থেকে ছয় জনকে আসামি করে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।