প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেতে ইউএনও’র কাছে আকুতি

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে পাওয়া ঘরে ওঠার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে আকুতি জানাতে হয়েছে হিরন নামের এক হতদরিদ্রকে। একইসঙ্গে ঘরের জন্য চেয়ারম্যানকে দেওয়া নগদ ৩০ হাজার টাকা ফেরত চেয়েছেন তিনি। হিরোন উপজেলার মাদবখালী গ্রামের বাসিন্দা।

হিরনের অভিযোগ, সরকারি একটি ঘর পাওয়ার জন্য মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মনিরুল ইসলাম তালুকদারকে তিনি ৩০ হাজার টাকা দেন। পরে হঠাৎ একদিন আরও ৭০ হাজার টাকা চান চেয়ারম্যান। এ টাকা দিতে না পারায়, তাঁর নামে বরাদ্দকৃত ঘরটি একই বাড়ির আইয়ুব আকনের জমিতে নির্মাণ করা হয়। ঘরটির দেয়ালের নেমপ্লেটে হিরনের নাম খোদাই করে লিপিবদ্ধ আছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে কাগজপত্র অনুসন্ধান করে তাঁর নাম পাওয়া যাবে বলে হিরন জানান। এমনকি ঘরের জন্য দেওয়া ৩০ হাজার টাকা ফেরত চাইলে টাকা না দিয়ে উল্টো হিরনকে গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন চেয়ারম্যান।

অভিযুক্ত মাধবখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনিরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘এই অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘরটি হিরনের নামেই বরাদ্দ হয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. তানিয়া ফেরদৌস এ ব্যাপারে বলেন, ‘তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আরও পড়ুন...

চেয়ারম্যানকে ৩০ হাজার টাকা দিয়েও মেলেনি উপহারের ঘর!

অর্থের বিনিময়ে উপহারের ঘর!